রাঙ্গুনিয়ায় ফখরুলের গাড়িবহর থেকে হামলার অভিযোগে মামলা

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গাড়িবহর থেকে হামলার অভিযোগ এনে দলের ৪১ নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আ স ম শহীদুল্লাহ কায়সারের আদালতে দ্রুত বিচার আইনে মামলাটি করেন রাঙ্গুনিয়ার সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক মো. মহসিন।
আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে আগামী ১৯ জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট নিখিল কুমার নাথ জানান, মামলায় রাঙ্গুনিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি শওকত আলী নূর, সহসভাপতি ইউসুফ চৌধুরী, স্থানীয় বিএনপির নেতা নিজাম উদ্দিন, আহমদ সাফা, মোহাম্মদ করিম, জিয়াউর রহমানসহ ২৬ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরো ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
ঘটনার পাঁচদিন পর মামলা দায়ের সম্পর্কে বাদী মো. মহসিন সাংবাদিকদের জানান, রোববার মির্জা ফখরুলের গাড়ি তাঁর সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ দুটি অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন প্রতিবাদ করলে বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা তাঁদের মারধর করেন ও গাড়ি ভাঙচুর করেন। গাড়িচাপায় তিনি ও চালক আজিজ আহত হন। পরে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে আসামিদের শনাক্ত করে মামলা করেন বলেও জানান মো. মহসিন।
গত ১৮ জুন দুর্যোগকবলিত এলাকা পরিদর্শন ও সেখানকার অসহায় মানুষদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণের জন্য রাঙ্গামাটি যাওয়ার পথে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ইছাখালী এলাকায় হামলার শিকার হন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় তাঁর বহরের পাঁচটি গাড়ি ভাঙচুর করে সন্ত্রাসীরা। তাদের হামলায় মির্জা ফখরুল ছাড়াও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল রুহুল আলম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীমসহ পাঁচ নেতা আহত হন।
ঘটনার পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী দাবি করেছিলেন, হামলা ও ভাঙচুরের সময় দুর্বৃত্তরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেয়। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের স্থানীয় সংসদ সদস্য হাছান মাহমুদের সমর্থকরা জড়িত থাকতে পারেন বলেও অভিযোগ করেন।
যদিও হাছান মাহমুদ এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, এটি রহস্যজনক।
ওই হামলার ঘটনায় গতকাল বুধবার চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আ স ম শহীদুল্লাহ কায়সারের আদালতে দ্রুত বিচার আইনে মামলা করেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ এনামুল হক। এতে ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৩০ জনকে আসামি করা হয়। বিচারক অভিযোগটি গ্রহণ করে আগামী ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে পিবিআইকে নির্দেশ দেন।