হত্যা মামলার অধিকতর রিভিশন শুনানি ১২ নভেম্বর

চলচ্চিত্রের প্রয়াত নায়ক সালমান শাহ হত্যা মামলায় তদন্তের বিরুদ্ধে ফৌজদারি রিভিশন মামলার অধিকতর শুনানির জন্য আগামী ১২ নভেম্বর দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালতের সালমান শাহ হত্যা মামলায় রিভিশন শুনানির জন্য দিন নির্ধারিত ছিল। আজ এ মামলার রিভিশন শুনানি শেষ না হওয়ায় বিচারক অধিকতর শুনানির জন্য এদিন নির্ধারণ করেছেন। এর আগে গত ১৩ অক্টোবর এই রিভিশন মামলায় আংশিক শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
আজ রিভিশন শুনানিকালে আদালতে উপস্থিত ছিলেন সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরী। তিনি আদালতের এজলাসের একেবারে সামনে তাঁর পক্ষের আইনজীবীদের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। শুনানির একপর্যায়ে তিনি কাঁদতে শুরু করেন।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর জনপ্রিয় চিত্রনায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার ইমন ওরফে সালমান শাহর মৃত্যু হয়। সে সময় তাঁর বাবা প্রয়াত কমরউদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী একটি অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা করেছিলেন। পরে সালমানের বাবা ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই তাঁর ছেলের মৃত্যু অপমৃত্যু নয় বরং হত্যা করা হয়েছে মর্মে ঢাকার সিএমএম আদালতে একটি অভিযোগ করেন।
ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার সিএমএম আদালত অপমৃত্যুর মামলার সঙ্গে হত্যার অভিযোগটি এক সঙ্গে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) নির্দেশ দেন। পরবর্তী সময়ে একই বছরের ৩ নভেম্বর সিআইডি ঘটনাটি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে ঢাকার সিএমএম আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে সিআইডি। ওই চূড়ান্ত প্রতিবেদনে সালমান শাহের মৃত্যুকে অপমৃত্যু হিসেবে উল্লেখ করে সিআইডি।
পরে একই বছরের ২৫ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালত সিআইডি পুলিশের দাখিল করা চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেন।
কিন্তু সিআইডির দাখিল করা প্রতিবেদনে সালমানের বাবা সন্তুষ্ট না হয়ে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে একটি রিভিশন মামলা করেন।
ওই রিভিশন মামলার ওপর শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটি ফের বিচার বিভাগীয় তদন্তের জন্য নির্দেশ দেন।
এর পর প্রায় ১২ বছর ধরে এ মামলা বিচারবিভাগীয় তদন্তে ছিল। সর্বশেষ ২০১৪ সালের ৩ আগস্ট ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) বিকাশ কুমার সাহার কাছে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইমদাদুল হক বিচার বিভাগীয় তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই প্রতিবেদনেও সালমান শাহের মৃত্যুকে অপমৃত্যু হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
পরবর্তী সময়ে সালমানের মা নীলা চৌধুরী ওই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সিএমএম আদালতে আরেকটি নারাজি দাখিল করেন। যা বিচারক শুনানি শেষে এ মামলা র্যাবকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।