আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের অংশীদার হয়ে মোংলা বন্দর ব্যবহার করতে চায় প্রতিবেশী দেশ নেপাল। এ বিষয়ে নেপালের একটি প্রতিনিধিদল আজ বুধবার দুপুরে বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছে।

এ বিষয়ে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার ও মেরিন) ক্যাপ্টেন এম. আব্দুল ওয়াদুদ তরফদার জানান, বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপাল হাইকমিশনের ডেপুটি চিফ অব মিশন কুমার রাইয়ের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল আজ দুপুর সোয়া ১২টায় মোংলা বন্দরে প্রবেশ করে।

এরপর বন্দর কর্তৃপক্ষের সভাকক্ষে বন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দীর্ঘ দুই ঘণ্টার বৈঠকে মিলিত হন প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। মোংলা বন্দরের নানা সুযোগ-সুবিধা দেখে বৈঠকে এ বন্দর ব্যবহারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে নেপালের প্রতিনিধিদলের সদস্যরা।

নেপাল বর্তমানে ভারতের হলদিয়া বন্দর ব্যবহার করে থাকে। এখন তারা তাদের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য প্রসারে মোংলা বন্দরকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করতে চায় বলে বৈঠকে আলোচনা হয়।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটান এই চার দেশ নিজেদের মধ্যে ব্যবসাবাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে ট্রানজিট চুক্তি স্বাক্ষর করে। চুক্তির পর এই প্রথম মোংলা বন্দর ব্যবহারের বিষয়ে আলোচনা করতে আনুষ্ঠানিক সফরে এল নেপাল।

নেপালকে ট্রানজিন সুবিধা দিলে মোংলা বন্দর অর্থনৈতিকভাবে  লাভবান হবে উল্লেখ করে ক্যাপ্টেন এম. আব্দুল ওয়াদুদ তরফদার বলেন, ‘নেপালের প্রতিনিধিদলের সদস্যরা এই বন্দরের জেটিসহ বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। দুপুর ২টার দিকে মোংলা বন্দর ত্যাগ করেন নেপালের প্রতিনিধিদলের সদস্যরা।