রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক জানিয়েছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে মেঘনা নদীর ওপর নিমির্তব্য দ্বিতীয় রেলসেতু আগামী এপ্রিলে ট্রেন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। সেতুটি চালু হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল লাইনে চলাচলকারী যাত্রীদের অন্তত দেড় ঘণ্টা সময় কমে আসবে।

আজ মঙ্গলবার মেঘনা নদীর ওপর নির্মিতব্য রেলসেতু পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

এ সময় রেলমন্ত্রী আরো বলেন, ‘এই লাইনে রেলের বগি বাড়ানোর পাশাপাশি ট্রেনের সংখ্যাও বাড়ানো হচ্ছে। বর্তমান সরকারের দুই  মেয়াদেই রেলপথে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। এ জন্য সবার  সহযোগিতা দরকার।’

আজ সকালে ঢাকা থেকে রওনা হয়ে দুপুর ১২টায় আশুগঞ্জের মেঘনা নদীর রেলসেতুর নির্মাণ কাজের সাইট অফিসে যান মুজিবুল হক। প্রথমে তিনি আশুগঞ্জ সাইটে মেঘনা নদীর ওপর নিমির্তব্য দ্বিতীয় রেলসেতুর নির্মাণকাজ পরিদর্শন করেন। পরে তিনি ট্রলারে করে মেঘনা নদীতে রেলসেতুর বিভিন্ন স্প্যান নির্মাণের কাজ সরেজমিন  ঘুরে দেখেন।

এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফিরোজ সালাউদ্দিন, রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আমজাদ হোসেন, আশুগঞ্জের মেঘনা নদীর দ্বিতীয় রেলসেতুর প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. আবদুল হাই, আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আমিরুল কায়সার, আশুগঞ্জ মেঘনা নদীর দ্বিতীয় রেলসেতুর কন্সটাকশন ফার্ম ইরকন-এফকন্স জয়েন্টভেঞ্চারের সাইট ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী অমিয়াংশ দাস ও আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম উদ্দিন।

ভারতীয় জয়েন্টভেঞ্চারের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইরকন-এফকন্স ৫৬৭ কোটি ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে আশুগঞ্জ মেঘনা নদীর ওপর নির্মিতব্য দ্বিতীয় রেলসেতু প্রকল্পটির কাজ করছে।