কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার ভবানীপুরে আজ বুধবার সকালে আবারও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বিবদমান দুই পক্ষ। এতে উভয় পক্ষের অর্ধশত লোকজন আহত হয়েছে। ভাঙচুরসহ লুটপাট হয়েছে ১০ থেকে ১৫টি বাড়িঘরে।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে তাদের স্বজনরা আহতদের উদ্ধার করে ভৈরব ও কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বাজিতপুরের ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। এলাকায় এখানো উত্তেজনা বিরাজ করছে।

যেকোনো মুহূর্তে আবারও সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।

পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে দাবি করে ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোখলেছুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে জানান, পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, গতকাল মঙ্গলবার সকালে বিবদমান ওই দুই পক্ষের মধ্যে হয়ে যাওয়া সংঘর্ষের ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই আজ সকালে আবারও তারা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সকাল ৭টার দিকে শুরু হওয়া এ সংঘর্ষ ঘণ্টা দুই চলার পর সাবেক ইউপি সদস্য হাজি জয়নাল পক্ষের সমর্থকরা পিছু হটে। এই সুযোগে প্রতিপক্ষ হুমায়ুন পক্ষের লোকজন জয়নাল মেম্বার সমর্থক গ্রামের বিছু বেপারীর বাড়ি, বড়বাড়ি, আলম সরকারের বাড়িতে ঢুকে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।

গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ভৈরব উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের ভবানীপুর ও সুলেমানপুর এলাকার স্থানীয় দুই আওয়ামী লীগ নেতা হাজি জয়নাল আবেদীন ও হুমায়ুন কবির পক্ষের মধ্যে গত এক বছর ধরে চলা দফায় দফায় সংঘর্ষে দুই ব্যক্তি নিহতসহ আহত হয়েছেন কয়েকশ লোক। ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে শতাধিক বাড়িঘরে।