চিত্রনায়িকা অন্তরার মরদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ

মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে চিত্রনায়িকা অন্তরার মরদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
আজ বুধবার হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ নমুনা সংগ্রহের বিষয়টি জানিয়েছেন।
ডা. সোহেল বলেন, ‘ডিএনএ টেস্টের অন্তরার মরদেহের চুল, হাঁটু থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছি। বুকের হাড় থেকে নমুনা নেওয়া হয়েছে ভিসেরার জন্য। এগুলো পরীক্ষার জন্য পাঠাব। এরপর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দেব।’
অন্তরার ময়নাতদন্তের জন্য ডা. সোহেলকে নেতৃত্ব করে তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অপর দুই সদস্য হলেন- ডা. আ খ ম শফিউজ্জমান খায়ের ও ডা. কবির সোহেল।
মারা যাওয়ার তিন বছর পর আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থান থেকে অন্তরার লাশটি উত্তোলন করা হয়।
অন্তরা হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. আমিনুল ইসলাম জানান, অন্তরার স্বামীর বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ করেছিলেন মা আমেনা খাতুন। ২০১৫ সালে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে অন্তরাকে হত্যার অভিযোগ এনে পিটিশন মামলা করেন তিনি। এরপর গত ১২ জানুয়ারি সিএমএম অন্তরার লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে ১১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
২০১৪ সালের ৮ জানুয়ারি বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে অন্তরার মৃত্যু হয় বলে জানানো হয়েছিল পরিবারের পক্ষ থেকে। অন্তরার স্বামীর নাম শফিকুল ইসলাম খোকন মিয়া। তাঁর বাড়ি গাজীপুরের শ্রীপুরের মাওনা উত্তরপাড়া এলাকায়। ২০১০ সালের ২৬ মে অন্তরা ও খোকন বিয়ে করেন। প্রয়াত অন্তরার বাড়ি চাঁদপুর জেলা সদরের চরপুয়া গ্রামে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম আরো জানান, লাশের ময়নাতদন্ত এবং ডিএনএ টেস্টের প্রতিবেদনের পর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্তরা অভিনীত জনপ্রিয় চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘পাগল মন’, ‘প্রেমের কসম’, ‘শয়তান মানুষ’, ‘নাগ-নাগিনীর প্রেম’।