দাম বেশি রাখায় কাবাব ফ্যাক্টরি ও ফাইভ স্টার কিচেনকে জরিমানা

দাম বেশি রাখায় রাজধানীর দুই রেস্তোরাঁ ‘কাবাব ফ্যাক্টরি’ ও ‘ফাইভ স্টার কিচেন’কে মোট ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে ওই দুই রেস্তোরাঁর বিরুদ্ধে আলাদা অভিযোগ আসে। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে শুনানি শেষে আজ বৃহস্পতিবার এ জরিমানা করেন অধিদপ্তরের আদালত।
মো. মোকলেসুর রহমান নামে এক ব্যক্তি কাবাব ফ্যাক্টরি নামে রেস্তোরাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। রেস্তোরাঁটি উত্তরায় অবস্থিত। তিনি লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, ১৫ টাকা মূল্যের বোতলজাত পানির দাম তাঁর কাছে ২৫ টাকা রেখেছে ওই রেঁস্তোরা। নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ১০ টাকা বেশি রাখার অভিযোগ করেন তিনি।
পরে ওই অভিযোগের ভিত্তিতে শুনানি শেষে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান সঠিক কোনো যুক্তি উপস্থাপন করতে না পারায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের আদালত। অভিযোগকারী মো. মোকলেসুর রহমানকে জরিমানার ২৫ শতাংশ টাকা অর্থাৎ পাঁচ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
অনুপম কুমার নামে এক ব্যক্তি নীলক্ষেত সিটি করপোরেশন মার্কেটের ‘ফাইভ স্টার কিচেনে’র বিরুদ্ধে দাম বেশি রাখার অভিযোগ করেন। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ফাইভ স্টার কিচেনকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযোগকারী তাঁর অভিযোগে উল্লেখ করেন, ফাইভ স্টার কিচেন তাঁর কাছ ১৫ টাকা মূল্যের কোমল পানীয়র দাম ২০ টাকা রাখে। তাঁর কাছ থেকে অতিরিক্ত পাঁচ টাকা বেশি রাখার অভিযোগ করেন তিনি। পরে অভিযোগকারী অনুপম কুমারকে ২৫ শতাংশ টাকা বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক প্রণব কুমার প্রামাণিক এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘অভিযোগকারীদের নির্ধারিত অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা এ দুটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করি। ভোক্তা আইন অনুযায়ী কোনো অভিযোগকারীর অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়।
প্রণব কুমার বলেন, ‘জরিমানাকৃত অর্থের ২৫ শতাংশ টাকা অভিযোগকারীকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। যদি অভিযোগকারী শুনানির সময় উপস্থিত হতে না পারেন, তা হলে জরিমানার পুরো টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়।
প্রণব কুমার প্রামাণিক বলেন, ‘আমরা ভোক্তাদের অধিকারকে রক্ষার কাজ করে যাচ্ছি। এ ক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। সবাই সবার জায়গা থেকে সচেতন হলে আমাদের কাজ ভালো হয়।’
প্রণব কুমার বলেন, ‘প্রত্যেক ভোক্তার উচিত কোনো ভোক্তা অধিকার আইন বিষয়ে জানা। এ ক্ষেত্রে এখন খুব সহজেই অনলাইনের মাধ্যমে এ অধিকার বিষয়ে জানা যায়।’ এ জন্য জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ওয়েবপেজে এবং ফেসবুক পেজের বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায় বলে তিনি জানান।