১৬০ দেশে সাড়ে ৯৩ লাখ বাংলাদেশি শ্রমিক

বিশ্বের ১৬০টি দেশে ৯৩ লাখ ৪১ হাজার ৩৭৭ জন বাংলাদেশি কর্মী কাজ করছেন বলে সংসদকে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এর মধ্যে তিন লাখ ৯২ হাজার ৬৫৬ জন নারী কর্মী।
আজ বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে বেগম লুৎফা তাহের ও নুরজাহান বেগমের পৃথক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান মন্ত্রী।
লুৎফা তাহেরের প্রশ্নের জবাবে খন্দকার মোশাররফ হোসেন জানান, বর্তমানে বাংলাদেশ হতে ১৬০টি দেশে কর্মী গমন করছে। ১৯৭৬ সালে মে মাস থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত সময়ে মোট ৯৩ লাখ ৪১ হাজার ৩৭৭ জন বাংলাদেশি কর্মী বিভিন্ন দেশে গমন করেছে।
সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য নুরজাহান বেগমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ১৯৯১ সাল থেকে ২০১৫ পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নারী কর্মী প্রেরণের মোট সংখ্যা তিন লাখ ৯২ হাজার ৬৫৬ জন। ২০১৪ সালে বিদেশে নারী কর্মী প্রেরণের মোট সংখ্যা ৭৬ হাজার সাতজন। ২০১৫ সালের মে পর্যন্ত ৪০ হাজার ৩৮৭ জন নারী কর্মীর বিদেশে কর্মসংস্থান হয়েছে। এ পর্যন্ত জর্ডান, হংকং, সংযুক্ত আর আমিরাত, সৌদি আরবসহ বিশ্বের ৬৭টি দেশে নারী কর্মী গমন করছেন।
খন্দকার আজিজুল হক আরজুর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বিভিন্ন অপরাধে মালয়েশিয়ার ১৪ কারাগারে এক হাজার ৬০৪ জন বাংলাদেশি আটক আছেন। পাসপোর্ট ও ওয়ার্ক পারমিট না থাকা, ওয়ার্ক পারমিটের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও অবস্থান করা, ওয়ার্ক পারমিটের অবৈধ ব্যবহার, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে সংশ্লিষ্টতা ও অবৈধ অনুবেশের কারণে তারা মালয়েশিয়ার আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে আটক হন।
মন্ত্রী বলেন, এ রকম ১১টি ক্যাম্পে মোট এক হাজার ৩০৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন যাঁদের অনুকূলে ইতিমধ্যেই ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করা হয়েছে। মালয়েশিয়া জেল/ক্যাম্পে অবস্থানরত এসব নাগরিককে হাইকমিশন হতে নিয়মিত পরিদর্শন ও আইনগত সহায়তা প্রদান করা হয়। এবং ক্যাম্পে আটককৃত বাংলাদেশি নাগরিকদের ট্রাভেল পারমিট প্রদানসহ দেশে প্রেরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জানান, ২০১৩ সাল হতে জি টু জি প্রক্রিয়ায় প্লান্টেশন সেক্টরে এই পর্যন্ত আট হাজার ৪৭০ জন বাংলাদেশি কর্মীর মালয়েশিয়ার ভিসা এসেছে। চলতি বছর মে মাস পর্যন্ত সাত হাজার ৩৩৪ জন কর্মী মালয়েশিয়া গমন করে কর্মরত আছেন। অবশিষ্ট এক হাজার ২৫ জন ভিসাপ্রাপ্ত কর্মীর মধ্যে ১৬৮ জন কর্মী ফ্লাইটের অপেক্ষায় আছেন। ৮৫৭ জন কর্মী স্বেচ্ছায় ও স্বাস্থ্যগত কারণে মালয়েশিয়ায় গমন করতে পারেননি।