সিপিবি-বাসদ-বাম মোর্চার ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশি বাধা

গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) ও গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি পণ্ড করে দিয়েছে পুলিশ।
আজ বুধবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাও করতে গেলে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন তিনটি সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
তিনটি সংগঠনের কয়েকজন নেতাকর্মী জানান, তাঁরা জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাও করতে গেলে ব্যারিকেড দেয় পুলিশ। এ সময় কয়েকজন নেতাকর্মী ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় পুলিশ তাঁদের ওপর টিয়ার গ্যাসের শেল, জলকামান ব্যবহার করে।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের কর্মী নিশান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, পুলিশের মারধরে অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ছাত্রফ্রন্টের অনিমেষ রায়, অর্ণব চক্রবর্তী, শরিফুল চৌধুরী, অপু গুরুতর আহত হন। তাঁদের বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
এর আগে বেলা ১১টা থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সিপিবি, বাসদ ও গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার নেতাকর্মীরা তাঁদের পূর্বনির্ধারিত সমাবেশ শুরু করেন। দুপুর ১২টার পর বিক্ষোভ মিছিলসহ জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাও করতে যান তাঁরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমদ সাংবাদিকদের জানান, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সাধারণ মানুষের পক্ষে কর্মসূচি দেওয়া হয়েছিল। কর্মসূচি বাস্তবায়নে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করলে পুলিশ চড়াও হয়। এ ঘটনায় অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
জানতে চাইলে শাহবাগ থানার প্যাট্রল ইন্সপেক্টর শেখ আবুল বাশার এনটিভি অনলাইনকে বলেন, সমাবেশকারীরা পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপসহ উচ্ছৃঙ্খল আচরণ শুরু করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তাঁদের ওপর জলকামান ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়। এ ঘটনায় কয়েকজন আটক করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।