কর্মশালায় এমপিকে অতিথি না করায় হামলা

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় স্থানীয় সংসদ সদস্যকে (এমপি) অতিথি না করায় তাঁর সমর্থকদের হামলায় অটিজমবিষয়ক কর্মশালা পণ্ড হয়ে গেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় সম্মেলন কক্ষের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকালে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের ব্যবস্থাপনায় পূর্ব নির্ধারিত অটিজম বিষয়ক কর্মশালা শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে পাকুন্দিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোশাররফ হোসেন খানের সভাপতিত্ব করার কথা থাকলেও তিনি উপস্থিত ছিলেন না। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাসিনা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রেনু। বেলা ১১টা দিকে কর্মশালা শুরুর পর প্রথম পর্ব মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হয়।
দুপুর ২টার দিকে কর্মশালার দ্বিতীয় পর্বে অটিজমবিষয়ক কর্মশালার প্রশিক্ষক ও কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক এমপি ডা. মো. আবদুল মান্নানের ছেলে মাজহার মান্না পার্থ উপস্থাপনা শুরু করতেই বর্তমান এমপি অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিনের সমর্থকরা হামলা চালায়। এতে নেতৃত্ব দেন এমপি সোহরাবের লোক হিসেবে পরিচিত পাকুন্দিয়া কলেজের সাবেক চার ভিপি শফিক, আবদুল হাকিম, ফরিদ উদ্দিন ও হেলাল উদ্দিন। এ সময় তাঁরা মিলনায়তনে উপস্থিত লোকজনের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে হল থেকে বের করে দেন এবং চেয়ার-টেবিলসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেনু বলেন, ‘বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এমপি সোহরাবের লোক দলীয় সমর্থন না পাওয়ায় তাঁর লোকজন আজ এ হামলা চালিয়েছে। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের শাস্তি দাবি করছি।’
হামলা সম্পর্কে ভিপি শফিকুল ইসলাম সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘স্থানীয় সংসদ সদস্যকে না জানিয়ে অনুষ্ঠান করায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বাধা দেয়। গায়ের জোড়ে অনুষ্ঠান করতে চাইলে তা পণ্ড করে দেওয়া হয়।’
এ বিষয়ে এমপি সোহরাব উদ্দিনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এলাকার সংসদ সদস্যকে কর্মশালায় দাওয়াত না দেওয়ায় তাঁর সমর্থকরা ক্ষুব্ধ হয়ে হামলা চালাতে পারে।
ওসি আরো বলেন, ওসি হিসেবে তাঁকে এ অনুষ্ঠানের বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোশাররফ হোসেন খান বলেন, ‘এ কর্মশালায় আমার সভাপতিত্ব করার কথা থাকলেও জেলা প্রশাসনের একটি জরুরি সভায় যোগ দিতে আমি কিশোরগঞ্জে ছিলাম। পরে ঘটনা সম্পর্কে জানতে পেরেছি।’