জেএমবিকে অর্থ, পাসপোর্টের জোগান দিতেন ইমরান

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থেকে জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সারোয়ার-তামিম গ্রুপের দুই সদস্যকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। গতকাল শনিবার রাতে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে দাবি করেছে পুলিশের এই এলিট ফোর্স।
গ্রেপ্তাররা হলেন জেএমবির শূরা সদস্য এবং ঢাকা মহানগর পশ্চিমের দাওয়াতি আমির মীর ইমরান আহমেদ (৩৭) ও তাঁর সহযোগী শামীম মিয়া (২৯)।
আজ রোববার বেলা ১১টায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের গণমাধ্যম শাখার প্রধান মুফতি মাহমুদ এসব তথ্য দেন।
সংবাদ সম্মেলনে মুফতি মাহমুদ বলেন, র্যাবের কাছে তথ্য আছে জেএমবি পুনরায় সংগঠিত হচ্ছে। র্যাব-১১ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে শনিবার রাতে জেএমবির সারোয়ার-তামিম গ্রুপের ইমরান আহমেদ ও তাঁর সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে।
ইমরান আহমেদকে ধরতে এর আগে গত ১ জুন মহাখালীতে তাঁর বাসায় অভিযান চালানো হয়েছিল। কিন্তু তখন তাঁকে পাওয়া যায়নি। ইমরান আহমেদ জেএমবির কেন্দ্রীয় কমিটির শূরা সদস্য এবং দাওয়াতি শাখার আমির। সারা দেশে জেএমবির দাওয়াতি শাখার কার্যক্রমের সমন্বয়কারী হচ্ছেন ইমরান।
র্যাবের গণমাধ্যম শাখার প্রধান জানান, প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, ইমরান একটি টেক্সটাইল মিলের মালিক। ২০১২ সালে এক বন্ধুর মাধ্যমে ইমরান জঙ্গি কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়েন। তিনি তাঁর অফিস, ফ্যাক্টরি এবং বাসায় তিন জায়গাতেই জঙ্গিবাদের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন ধরনের বইপুস্তক ও জিনিসপত্র রাখতেন। তাঁকে গ্রেপ্তারের পর সেগুলো জব্দ করা হয়েছে।
মুফতি মাহমুদ বলেন, ‘ইরমান জঙ্গিদের আর্থিকভাবে সহযোগিতা করার পাশাপাশি পাসপোর্ট তৈরি করে দিতেন। এর আগে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া আবদুল হাকিম নামের এক জঙ্গির জামিনের জন্য তাঁর স্ত্রীকে ইমরান দুই লাখ টাকা দিয়েছেন।’
এ ছাড়া সিলেটের আতিয়া মহলে র্যাবের অভিযানের আগেই সেখানে অবস্থান করা সাজিদ নামের এক জঙ্গি পালিয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে পালিয়ে আসার পর সাজিদ ও ইমরান একসঙ্গে বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা করছিল। সাজিদ জেএমবির একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন।
মুফতি মাহমুদ আরো বলেন, জেএমবি বর্তমানে দাওয়াতের দিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। এ কারণে তাঁরা কিছুদিন আগে বগুড়ার সোনাতলায় বৈঠক করেছে। আর সেই বৈঠকে দাওয়াতি কার্যক্রমের জন্য ১০ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাজিদ দাওয়াতি সদস্য এবং মূল আমিরের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে। আমির আড়ালে থেকে সমন্বয়কারীর মাধ্যমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সাজিদ বর্তমানে আত্মগোপনে রয়েছে বলে জানান মুফতি মাহমুদ।