বার কাউন্সিলের নির্বাচন ২৬ আগস্ট পুনর্নির্ধারণ

বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাচনের সময় পিছিয়ে ২৬ আগস্ট পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ ভোটার তালিকা সম্পন্ন হয়নি জানিয়ে আজ বৃহস্পতিবার অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সময়ের আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।
একই সঙ্গে ৩০ জুলাই ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার পর কোনো অভিযোগ থাকলে ৩ আগস্ট এ বিষয়ে আপিল বিভাগে জানাতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত ২৮ মে বার কাউন্সিল নির্বাচন ১৩ আগস্ট অনুষ্ঠানের জন্য রায় দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। ভোটার তালিকা সম্পন্ন না থাকার পরও ভোট গ্রহণের তারিখ নির্ধারিত হওয়ায় জনস্বার্থে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়। রিটের শুনানি শেষে ২৮ মে ভোট অনুষ্ঠানের দিন ধার্য করে রায় দেন আপিল বিভাগ।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘বার কাউন্সিল নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ১৩ আগস্ট দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এ সময়ের মধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ সম্পন্ন না হওয়ায় আদালতে সময় আবেদন করেছিলাম। আদালত আমাদের আবেদন গ্রহণ করে ২৬ আগস্ট নির্বাচনের দিন ধার্য করেছেন।’
গত ২১ মে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বার কাউন্সিল আইন-২০০৩ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং বার কাউন্সিল ২০১৫ সালের নির্বাচন কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন।
এ বিষয়ে রিটকারীর আইনজীবী ড. ইউনূস আলী আকন্দ এনটিভি অনলাইনকে বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ১৯৭২ সালের মূল রুলসে একজন ভোটারের ১৪টি ভোটাধিকার প্রয়োগের কথা বলা হয়েছে। অথচ ২০০৩ সালে নিয়ম করা হয়, একজন ভোটার মাত্র সাতটি ভোট প্রয়োগ করতে পারবেন, যা মূল আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তাই রিট করেছি। আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দিয়েছেন।’
গত ১৭ মে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. ইউনূস আলী আকন্দ জনস্বার্থে হাইকোর্টে একটি রিট করেন। এই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত রুল জারি করেন। ২৭ মে বার কাউন্সিলের এবারের নির্বাচনে ভোট গ্রহণের জন্য দিন নির্ধারণ ছিল। শুরু থেকে এ নির্বাচন ২০ মে দিন নির্ধারণ থাকলেও পরে এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১২ মে কাউন্সিলের এক জরুরি সভায় এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হয়।