গ্যাসসম্পদ কমে আসছে : জ্বালানি উপদেষ্টা

প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেছেন, ‘গ্যাসের যে সম্পদ আছে সেগুলো কমে আসছে। সে জন্য আমরা বিভিন্নমুখী পদক্ষেপ নিয়েছি।’
আজ বুধবার পেট্রোবাংলার মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা জানান জ্বালানি উপদেষ্টা। জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে পেট্রোবাংলা ওই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
তৌফিক-ই-ইলাহী আরো বলেন, ‘একদিকে যেমন স্থলভাগে গ্যাস আহরণ ত্বরান্বিত করেছি, সমুদ্রভাগেও আমরা আমাদের অন্বেষণ ত্বরান্বিত করেছি। বিদেশ থেকে গ্যাস আমদানি করার ব্যবস্থা নিয়েছি।’
অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ‘আমরা বিদ্যুতের ক্ষেত্রে মাস্টারপ্ল্যান (মহাপরিকল্পনা) করেছি।’ বিদ্যুৎ খাতের মতো গ্যাস খাতেও একটি মহাপরিকল্পনা করা গেলে দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে আরো একধাপ এগিয়ে যাওয়া সম্ভব বলে মনে করেন প্রতিমন্ত্রী।
নসরুল হামিদ বলেন, ‘আমরা বিদ্যুতের ক্ষেত্রে মাস্টারপ্ল্যান করেছি। গ্যাস সেক্টরে কখনো মাস্টারপ্ল্যান করা হয়নি। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে আমরা পরামর্শক এনেছি, যে আমাদের একটি রোডম্যাপ তৈরি করে দেবে। এটা পেলে পরে আমরা বুঝতে পারব যে আমরা কোথায় আছি। আমাদের কী করা উচিত।’
দিবসটি উপলক্ষে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. শামসুল আলম বলেন, ‘যাদের হাতে রাষ্ট্র প্রাতিষ্ঠানিকভাবে জ্বালানি নিরাপত্তার দায়িত্ব দিয়েছে, তারা যখন জ্বালানি নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলে এবং জ্বালানি নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করে; তাদের কথা এবং কাজ দেখে মনে হয় তাঁরা জ্বালানি নিরাপত্তা জিনিসটাই বোঝে কি না আমার শঙ্কা আছে।’
বুয়েটের অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন বলেন, ‘গ্যাস আবিষ্কার করা, এটাতে যদি ব্যর্থ হয়, এটাতে যদি জোর দেওয়া না হয়, তাহলে আমি মনে করি আমাদের প্রাইমারি এনার্জিতে সাংঘাতিক রকম সংকট আছে। জ্বালানির দাম অত্যন্ত বেড়ে যাবে।’
১৯৭৫ সালের ৯ আগস্ট শেল কোম্পানির কাছ থেকে পাঁচটি গ্যাসক্ষেত্র কিনে নিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার। সেখান থেকেই শুরু হয় দেশের জ্বালানি খাতের অগ্রযাত্রা। দিনটিকে এখন পালন করা হয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস হিসেবে।