চিত্রনায়ক সালমান শাহ হত্যা মামলায় পুনঃতদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার সময় বাড়িয়েছেন আদালত।

আজ সোমবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে সালমান শাহ হত্যা মামলায় পুন:তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন নির্ধারিত ছিল।

কিন্তু মামলার তদন্ত সংস্থা র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ঢাকা মহানগর হাকিম অমিত কুমার দের আদালতে কোনো প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় বিচারক আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পুনঃতদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন নির্ধারণ করে দেন।

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর জনপ্রিয় চিত্রনায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার ইমন ওরফে সালমান শাহ নিহত হন। ওই সময় তাঁর বাবা প্রয়াত কমরউদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা দায়ের করেছিলেন।

পরে সালমানের বাবা কমরউদ্দিন ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই তাঁর ছেলের মৃত্যু অপমৃত্যু নয় বরং হত্যা করা হয়েছে মর্মে ঢাকার সিএমএম আদালতে একটি অভিযোগ করেন। 

ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার সিএমএম আদালত অপমৃত্যুর মামলার সাথে হত্যার অভিযোগটি একসাথে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) নির্দেশ দেন। 

একই বছরের ৩ নভেম্বর সিআইডি ঘটনাটি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে ঢাকার সিএমএম আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। 

ওই চূড়ান্ত প্রতিবেদনে সালমান শাহের মৃত্যুকে অপমৃত্যু হিসেবে উল্লেখ করে সিআইডি। 

পরবর্তী সময়ে একই বছরের ২৫ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালত সিআইডি পুলিশের দাখিল করা চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেন আদালত।

কিন্তু সিআইডির দাখিল করা প্রতিবেদনে সালমানের বাবা সন্তুষ্ট না হয়ে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে একটি রিভিশন মামলা দায়ের করেন।

ওই রিভিশন মামলার ওপর শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটিকে আবার বিচারবিভাগীয় তদন্তের জন্য নির্দেশ দেন। 

এরপর প্রায় ১২ বছর ধরে এ মামলা বিচারবিভাগীয় তদন্তে ছিল। সর্বশেষ ২০১৪ সালের ৩ আগস্ট ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) বিকাশ কুমার সাহার কাছে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইমদাদুল হক বিচারবিভাগীয় তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিল করেন। 

ওই প্রতিবেদনেও সালমান শাহর মৃত্যুকে অপমৃত্যু হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

সালমানের মা নীলা চৌধুরী ওই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সিএমএম আদালতে আরেকটি নারাজি দাখিল করেন। পরে বিচারক শুনানি শেষে এ মামলা র‌্যাবকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।