সুনামগঞ্জের সাত উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি

কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে তৃতীয় দফায় সুনামগঞ্জ জেলার সাত উপজেলার তিন শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক লাখ মানুষ। এসব এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানি ও গোখাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে।
তবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, পানি বৃদ্ধি পেলেও বন্যার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি। দুর্গত এলাকায় ৪০ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় জরুরি ভিত্তিতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটিকে নিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বৈঠক করা হয়েছে বলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
জেলার তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়ধল, দক্ষিণ বড়ধল, উত্তর শ্রীপুর, দক্ষিণ শ্রীপুর, বাগলী ইউনিয়ন, দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা, দোহালিয়া ও দোয়ারাবাজার সদর ইউনিয়ন, বিশ্বম্ভরপুরের শক্তিয়ারখলা, বাদাঘাট, জামালগঞ্জ উপজেলার সাচনাবাজার, ফেনারবাঁক ও জামালগঞ্জ সদর, ছাতক উপজেলার ইসলামপুর, উত্তর খোরমা, দক্ষিণ খোরমা, কালারুকা, শাল্লা এবং ধর্মপাশার প্রায় সব গ্রামেই পানি ঢুকে পড়েছে। তাহিরপুর বিশ্বম্ভরপুর সড়কটি বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। আর এই সাত উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা হলো তাহিরপুর, দোয়ারাবাজার ও ছাতক উপজেলা। এই তিন উপজেলার ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়েছে। ওই সব এলাকার বিদ্যালয়ে পানি ঢুকে পড়ায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। আর তাহিরপুরের উত্তর শ্রীপুর ও সূর্যেরগাঁও ইউনিয়নের ১০টি পরিবার বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছে।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম বলেন, সুনামগঞ্জের বেশির ভাগ এলাকাই নিচু ভূমি হওয়ায় অল্প বৃষ্টিতে পানি বেড়ে যায় সেই সঙ্গে সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। যদিও বন্যার কোনো লক্ষণ নেই। তারপরও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে জামালগঞ্জ উপজেলায় আট টন, ছাতক উপজেলায় আট টন, দিরাই উপজেলায় আট টন, শাল্লায় সাত টন, ধর্মপাশা উপজেলায় ছয়টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. মামুন হালদার বলেন, সুনামগঞ্জ শহরের ষোলঘর পয়েন্টে সুরমা পানির বিপৎসীমার ৫১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।