দুজনের মৃত্যুদণ্ড, একজনের ৭ বছরের কারাদণ্ড

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে মা ও ছেলে হত্যা মামলায় দুজনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১-এর বিচারক মিয়াজী শহীদুল আলম চৌধুরী এ রায় দেন।
রায়ে যাঁদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে, তাঁরা হলেন আবুল হোসেন ওরফে কসাই কাশেম ও দুলাল হোসেন। আর সাত বছরের কারাদণ্ড পেয়েছেন বাবুল হোসেন। তিনি পলাতক রয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ৫ মার্চ বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আড়াইহাজার উপজেলার দড়িগাঁও এলাকায় ২৫-২৬ বছরের এক নারী তাঁর ছয় বছরের ছেলেকে নিয়ে মানুষের কাছে সাহায্য চাচ্ছিলেন। ওই সময় আসামিরা ওই নারীকে ১০ টাকা সাহায্য দেন। পরে আসামিরা ছয় বছরের বাচ্চাসহ ওই নারীকে শ্মশানঘাট এলাকায় নিয়ে যান। সেখানে কাশেম ও বাবুল হোসেন ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি এলাকার লোকজন দেখে ফেলায় কাশেম ওই নারীর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে তাঁকে হত্যা করেন।
মাকে হত্যার সময় শিশুটি কান্নাকাটি করছিল। ওই সময় দুলাল হোসেন কোদাল দিয়ে মাথায় আঘাত করলে শিশুটি নিহত হয়। পরে দুজনের লাশ দড়িগাঁও কবরস্থান এলাকার পুরাতন গর্তে মাটিচাপা দিয়ে রাখেন আসামিরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আড়াইহাজার থানা পুলিশ বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করে।
মামলায় সরকারপক্ষের অতিরিক্ত কৌঁসুলি (এপিপি) আবদুর রহিম জানান, আসামি বাবুল হোসেন হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে পুলিশ ওই তিন আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আজ এ রায় দেন।