ডেসটিনির দুই মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি ৫ নভেম্বর

গ্রাহকদের চার হাজার ১১৯ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা দুই মামলায় ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমিনসহ ৫১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আগামী ৫ নভেম্বর দিন রেখেছেন আদালত।
আজ রোববার ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কামরুল হোসেন মোল্লা এ দিন ধার্য করেন। আজ অভিযোগ গঠনের শুনানিতে আসামিপক্ষ আংশিক শুনানি করেন। পরবর্তীকালে বিচারক বাকি শুনানির জন্য নতুন করে এ দিন ধার্য করেন।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করেন।
এ ছাড়া আজ এ মামলায় পলাতক ৪৬ আসামির বিরুদ্ধে পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল।
এদিন এ মামলায় জামিনে থাকা আসামি ডেসটিনির প্রেসিডেন্ট সাবেক সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) হারুন-অর-রশিদ আদালতে হাজির ছিলেন।
কারাগারে থাকা ডেসটিনির এমডি রফিকুল আমিন ও ডেসটিনির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন, পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম ও শফিউল ইসলামকে আদালতে হাজির করা হয়।
এ ছাড়া এ মামলায় পলাতক আছেন ডেসটিনির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক গোফরানুল হক, পরিচালক মেজবাহ উদ্দিন, ফারাহ দীবা, সাঈদ-উর-রহমান, সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন, জমশেদ আরা চৌধুরী, ইরফান আহমেদ, শেখ তৈয়বুর রহমান, নেপাল চন্দ্র বিশ্বাস, জাকির হোসেন, জসিমউদ্দিন ভূঁইয়া, এস এম আহসানুল কবির, জুবায়ের হোসেন, মোসাদ্দেক আলী খান, আবদুল মান্নান, আবুল কালাম আজাদ, আজাদ রহমান, মো. আকবর হোসেন সুমন, মো. সুমন আলী খান, শিরীন আকতার, রফিকুল ইসলাম সরকার, মো. মজিবুর রহমান, ড. এম হায়দারুজ্জামান, মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, কাজী মো. ফজলুল করিম, মোল্লা আল আমীন, মো. শফিউল ইসলাম, সিকদার কবিরুল ইসলাম, মো. ফিরোজ আলম, ওমর ফারুক, সুনীল বরণ কর্মকার ওরফে এসবি কর্মকার, ফরিদ আকতার, এস সহিদুজ্জামান চয়ন, আবদুর রহমান তপন, মেজর (অব.) সাকিবুজ্জামান খান, এস এম আহসানুল কবির (বিপ্লব), এ এইচ এম আতাউর রহমান রেজা, গোলাম কিবরিয়া মিল্টন, মো. আতিকুর রহমান, খন্দকার বেনজীর আহমেদ, এ কে এম সফিউল্লাহ, শাহ আলম, মো. দেলোয়ার হোসেন, মিসেস জেসমিন আক্তার (মিলন) ও মো. শফিকুল হক।
গত বছরের ৪ মে গ্রাহকদের চার হাজার ১১৯ কোটি ২৪ লাখ এক হাজার ১৮২ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের দায়ে মাল্টিলেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) কোম্পানি ডেসটিনির ৫১ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
২০১২ সালের ৩১ জুলাই দুদকের উপপরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার ও সহকারী পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম এ মামলা করেন।