বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষক ডরমেটরিতে রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এইচ এম তারিকুল ইসলামের কক্ষে ভাঙচুর ও তছনছ করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী।

আজ বুধবার দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের সামনে মিডিয়া চত্বরে ওই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রশাসনিক ভবন ও পুলিশ ফাঁড়ির সামনে অবস্থিত শিক্ষক ডরমেটরিতে দুর্বৃত্তরা দিনে-দুপুরে কেমন করে হানা দেয়— এটা বুঝতে তাঁরা হিমশিম খাচ্ছেন। তাঁরা মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তায় নিয়োজিত কর্তৃপক্ষের দুর্বলতাই এর প্রত্যক্ষ কারণ।’

শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন সেখানে সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের ওপর কীভাবে আস্থা রাখবেন— এটাই উপাচার্য মহোদয়ের কাছে তাঁদের প্রশ্ন। অবিলম্বে এই দুর্বৃত্তদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা না করলে তাঁরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বেরোবির শিক্ষকদের ডরমেটরির নিচ তলায় রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এইচ এম তারিকুল ইসলামের বাসায় দুর্বৃত্তরা ভাঙচুর করে।

শিক্ষক এইচ এম তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘বাসার কোনো জিনিসপত্র হারায়নি। তবে রুমের ভেতরের আসবাবপত্রসহ কাপড়-চোপড় তছনছ ও উলটপালট করা হয়েছে। তাই এটাকে চুরি বলা যায় না। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে।’ তবে ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত থাকতে পারে— এ বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি তিনি।

এই ঘটনায় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. পরিমল চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘বরাবরের মতো আবারও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি যে উপেক্ষিত হয়েছে তার প্রমাণ পাওয়া গেল। এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করল আমরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। প্রশাসনিক ভবন থেকে মাত্র ৫০ গজ দূরে অবস্থিত এই ভবনে দিনে-দুপুরে কীভাবে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটতে পারে, তা প্রশ্নবিদ্ধ।’

ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ কে এম নূর-উন-নবী শিক্ষক ডরমেটরি পরিদর্শন করেন। এ সময় উপাচার্য ডরমেটরিতে হামলায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রক্টরকে ঘটনার দ্রুত অনুসন্ধানের নির্দেশ দেন এবং ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদার করার আশ্বাস দেন।