ছাত্রকে হত্যায় প্রধান শিক্ষকসহ তিনজনের যাবজ্জীবন

মাদ্রাসাছাত্রকে হত্যার দায়ে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার একটি মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকসহ তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁদের ১০ হাজার টাকার অর্থদণ্ডাদেশ অনাদায়ে আরো ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে নীলফামারী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মাহবুবুল আলম এই রায় দেন।
দণ্ডাদেশ পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন জলঢাকার কৈমারী বসুনিয়াপাড়া এজাহারিয়া জামিয়া দারুল উলুম হাফিজিয়া মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক ডোমার উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের নয়াবাড়ি গ্রামের শওকত আলী (৫৮), সহকারী কারি শিক্ষক কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুরা গ্রামের মফিজুল ইসলাম (৩৩) এবং ওই মাদ্রাসার ছাত্র জলঢাকা উপজেলার ডাউয়াবাড়ী নেকবক্ত গ্রামের মনিরুজ্জামান (২৭)।
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি জামিল আহমেদ জানান, কৈমারী বসুনিয়াপাড়া এজাহারিয়া জামিয়া দারুল উলুম হাফিজিয়া মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকের নির্যাতন এবং এক শিক্ষকের অসামাজিক কার্যকলাপ দেখে ফেলেন প্রতিষ্ঠানের হাফিজিয়া শ্রেণির ছাত্র ওয়াসকুরুনী (১৪)। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আসামিরা ২০০৭ সালের ১ জুলাই রাতে ওয়াচকুরুনীকে তার চাচাতো ভাইয়ের বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আসেন। একপর্যায়ে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন। পরের দিন দুপুরে মাদ্রাসা সংলগ্ন মসজিদের পেছন থেকে ওয়াচকুরুনীর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত ওয়াসকুরুনী রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার পূর্ব কচুয়া গ্রামের আজিম উদ্দিনের ছেলে। ওই দিনই সন্ধ্যায় আজিম উদ্দিন বাদী হয়ে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক শওকত আলী, কারি শিক্ষক মফিজুল ইসলাম ও মাদ্রাসার কারি শ্রেণির ছাত্র মনিরুজ্জামানকে আসামি করে জলঢাকা থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মাহবুবুল আলম তিনজনকে দণ্ডবিধি ৩০২/৩৪ ধারায় প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন এবং ১০ হাজার টাকার অর্থদণ্ডাদেশ অনাদায়ে ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন।