রংপুর নগরীর দর্শনা মোড়ে বাসচাপায় তিন শিশু নিহতের ঘটনায় আজও সড়ক অবরোধ করেছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঘণ্টাব্যাপী রংপুর-ঢাকা-দিনাজপুর মহাসড়ক অবরোধ করার পর প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।

দুর্ঘটনাস্থলে গতিরোধক, উড়াল সেতু নির্মাণ, ট্রাফিক পোস্ট স্থাপন এবং তিন শিশু শিক্ষার্থীকে হত্যাকারী বাসের চালককে গ্রেপ্তারসহ কয়েক দফা দাবিতে এলাকাবাসী দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত এ মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে।

খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল কাদের জিলানীসহ পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান। দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।

ওসি বলেন, বর্তমানে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। বাসটিকে শনাক্ত করা ও চালককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে।

এদিকে আজ সকালে দুর্ঘটনায় নিহত দুই ভাই শরিফুল ও আবদুস সালামকে দর্শনার সূত্রাপুরে পারিবারিক কবরস্থানে এবং সুমাইয়াকে কুড়িগ্রামের কাঁঠালবাড়ির নিজ বাড়িতে দাফন করা হয়েছে।

গতকাল বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে একটি সাইকেলে করে এই তিন শিক্ষার্থী বাস টার্মিনালের পাশে বাড়ি যাওয়ার সময় পেছন দিক থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস তাদের চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলেই সুমাইয়ার মৃত্যু হয়। আহত হয় দুই ছাত্র। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর বিকেল ৫টার দিকে শরিফুল এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তার ছোট ভাই আবদুস সালাম মারা যায়।

এর আগে আজ সকালে নগরীর পায়রা চত্বরে কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের এক বীজবাহী ট্রাকের চাপায় আপন নামের এক শিশু নিহত হওয়ার ঘটনায় পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা দেড় ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে। প্রশাসনের আশ্বাসে তাঁরাও অবরোধ তুলে নেয়।