ফরিদপুরে দেয়ালধসে শিশুর মৃত্যু

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার থানাসংলগ্ন ফিডার রোডে দেয়ালধসে নিচে চাপা পড়ে এক ব্যবসায়ীর ছেলেশিশু আবদুল্লাহর (৪) মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু ঘটে।
নিহত আবদুল্লাহ ভাঙ্গা থানাসংলগ্ন কাপুড়িয়া সদরদী গ্রামের বাসিন্দা ও ভাঙ্গা বাজারের মুদি ব্যবসায়ী ইমদাদুল মুন্সীর একমাত্র ছেলে।
স্থানীয় লোকজন জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর বাসা থেকে মায়ের সঙ্গে বের হয়ে শিশু আবদুল্লাহ বাজারে যাচ্ছিল। পথে থানাসংলগ্ন ফিডার রোডে শিশুর ওপর একটি দেয়াল ধসে পড়ে। গুরুতর আহত অবস্থায় শিশু আবদুল্লাহকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে প্রথমে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ফরিদপুর ট্রমা সেন্টারে নেন। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। ঢাকার একটি হাসপাতালে নেওয়ার পরই তার মৃত্যু ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এ ব্যাপারে নিহতের চাচা মুদি দোকান ব্যবসায়ী আকিদুল মুন্সী জানান, বাসার সামনেই একটি সরু রাস্তা। তার একদিকে একটি বিল্ডিংয়ের ফাউন্ডেশনের কাজ চলছে। অপর পাশে পুরোনো একটি দেয়াল। সেই দেয়ালের ওপাশ ঘেঁষে বালুর বিশাল স্তূপ রাখা ছিল। সেই বালুর চাপেই দেয়ালটি ধসে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এভাবে যারা কাজ করে তাদের সচেতন হওয়া উচিত।
আকিদুর মুন্সী বলেন, ‘আমাদের কারো ওপর কোনো অভিযোগ নাই। তবে ভাঙ্গা হাসপাতালের চিকিৎসকরা অবহেলা করেছে। চিকিৎসকরা যখনই শোনে রোগীর বাড়ি হাসপাতালসংলগ্ন এলাকায়, তখনই তারা রোগীর চিকিৎসা না করে ফরিদপুর রেফার্ড (স্থানান্তর) করে দেন। আমরা সময়মতো চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয়েছি।’
অভিযোগ অস্বীকার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মেহেদী হাসান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘বাচ্চাটি গুরুতর আহত হয়েছিল। ইট পড়ে মাথা এবড়োথেবড়ো হয়ে যায়। আমরা তাড়াতাড়ি তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার্থে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে নিতে বলি।’