যুদ্ধাপরাধীদের সম্পদ মুক্তিযোদ্ধাদের কাজে ব্যবহৃত হবে

মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে ব্যবহার করা হবে।
আজ শনিবার দুপুরে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ভাটিয়াপাড়া মুক্ত দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
সমাবেশে মন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে আস্ফালন হয়েছে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে নাকি কোনো মুক্তিযুদ্ধ হয়নি! কোনো মা-বোনও ধর্ষিত হয়নি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘৭১-এর পরাজয়ের গ্লানি তাঁরা (পাকিস্তান) আজও ভুলতে পারেনি। আইন না থাকলে নতুন আইন করে সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হবে।
মোজাম্মেল হক বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াতে ইসলামীর এ দেশে রাজনীতি করার অধিকার নেই। জামায়াতকে আমরা রাজনৈতিকভাবেই নিষিদ্ধ করব। এটা অচিরেই নিষিদ্ধ হবে। বাংলাদেশে তাঁদের রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না।’
মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান মুজিবনগর সরকারের অধীনে মুক্তিযুদ্ধ করতে চাননি। এসব অপকর্মের জন্য জিয়াউর রহমানেরও মরণোত্তর বিচার করা হবে।
কাশিয়ানী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের কমান্ডার এনায়েত হোসেনের সভাপতিত্বে উপজেলার বধ্যভূমিসংলগ্ন রেলওয়ে মাঠে ওই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে কেন্দ্রীয় কমান্ডের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমত কাদীর গামা, সহ-সংগঠনিক সম্পাদক এস এম মজিবুর রহমান, পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) এস এম মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান, যুদ্ধকালীন কমান্ডার ক্যাপ্টেন নূর মোহাম্মদ বাবুল বক্তব্য দেন।