নওগাঁয় সামাজিক বনায়নের শতাধিক গাছ কেটে সাবাড়

নওগাঁর মান্দা উপজেলার সামাজিক বনায়নের শতাধিক ইউক্যালিপটাস গাছ কেটে সাবাড় করেছেন স্থানীয় ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আবদুল জলিল। কয়েক দিন ধরেই দিনের বেলায় ভাড়াটে লোক দিয়ে এই গাছ কাটার উৎসব চললেও প্রশাসন নির্বিকার ভূমিকা পালন করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মান্দা উপজেলার পীরপালি বাজার থেকে কালাপাড়া রাস্তায় ১০ বছর আগে সদর ইউনিয়নের তৎকালীন চেয়ারম্যান মহসীন রেজা পরিষদের অর্থায়নে সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে গাছ রোপণ করেন। তিন দিন আগে ইউনিয়নের যুবলীগ সভাপতি আবদুল জলিল ভাড়াটে লোক দিয়ে প্রকাশ্যে গাছ কাটা শুরু করেন। তাঁর দাপটে বনায়নের সদস্যরাও বাধা দেওয়ার সাহস করেননি। এরই মধ্যে যে গাছ কাটা হয়েছে, তার কাঠের মূল্য ১০ লাখ টাকার বেশি হবে বলে জানান বনায়নের সদস্যরা।
মান্দা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মহসীন রেজা জানান, বনায়ন কর্মসূচির আওতায় ইউনিয়ন পরিষদের ওই রাস্তায় গাছগুলো লাগানো হয়েছিল। স্থানীয়ভিত্তিক কমিটির সঙ্গে নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে পরিষদের চুক্তিনামা রয়েছে। গাছগুলো পরিচর্যার জন্য কমিটির সদস্যরা উপকারভোগী হিসেবে লভ্যাংশ পাবেন। ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আবদুল জলিল ওই বনায়নের সদস্য নন বলে জানান এই সাবেক চেয়ারম্যান।
সামাজিক বনায়নের গাছ কাটার বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা বন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, ওই রাস্তা থেকে আবদুল জলিল নামের এক ব্যক্তি বিধিবহির্ভূতভাবে ১২৭টি ইউক্যালিপটাস গাছ কেটে নিয়েছেন। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুর রহমান খান ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাজিবুল আলমকে জানানো হয়েছে।
বন কর্মকর্তা আরো বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ গাছ রোপণ করলেও চেয়ারম্যান কিংবা কমিটির সদস্যদের কেটে নেওয়ার এখতিয়ার নেই। উপজেলা পরিবেশ ও বন উন্নয়ন কমিটির নিয়ম অনুযায়ী জেলা কমিটিতে অনুমোদন নিয়ে টেন্ডারের মাধ্যমে গাছগুলো বিক্রি করতে হবে। পরে কার্যাদেশ নিয়ে ঠিকাদার গাছ কাটতে পারবে।
এ ব্যাপারে মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইফুর রহমান খান বলেন, সরকারি রাস্তার গাছগুলো অবৈধভাবে কেটে নেওয়া হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।