মৃত্যুর দেড় বছর পর কবর থেকে কঙ্কাল উত্তোলন

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার নকুলহাটি গ্রামে সুমি আক্তার নামের এক গৃহবধূর মৃত্যুর রহস্য জানতে প্রায় দেড় বছর পর কবর থেকে কঙ্কাল উত্তোলন করা হয়েছে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে আজ সোমবার দুপুরে পাশের বোয়ালমারী উপজেলার সত্তরকান্দা গ্রামে মোস্তফা কামালের পারিবারিক কবরস্থান থেকে সুমির কঙ্কাল উত্তোলন করা হয়। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সালাউদ্দিন আহম্মেদ উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আনুমানিক সাত বছর আগে সালথার আটঘর ইউনিয়নের নকুলহাটি গ্রামের শহীদুল মোল্লার সঙ্গে বোয়ালমারী উপজেলার সত্তরকান্দা গ্রামের সৌদি আরবপ্রবাসী মোস্তফা কামালের মেয়ে সুমি আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর ২০১৪ সালের ২০ আগস্ট সকালে সুমি বিষাক্ত পদার্থ পান করেন বলে দাবি করেন তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন। ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুমি মারা যান। সুমির বাবা সৌদি আরবে থাকায় ময়নাতদন্ত শেষে তাঁর লাশ বাবার বাড়ি সত্তরকান্দা গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। সুমির মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে তাঁর বাবা সৌদি আরব থেকে দেশে আসেন। দেশে ফেরার পর মোস্তফা কামাল বাদী হয়ে ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলা নম্বর ১০, তারিখ ২৭ নভেম্বর, ২০১৫। মামলার পর আদালত পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে কঙ্কাল উত্তোলনের নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সালাউদ্দীন আহম্মেদ আজ সোমবার সত্তরকান্দা গ্রামের পারিবারিক কবরস্থান থেকে সুমির কঙ্কাল উত্তোলন করেন। এ সময় সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ডি এম বেলায়েত হোসেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জিল্লুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
সুমির বাবার বাড়ির লোকজন সাংবাদিকদের বলেন, যৌতুকের জন্য শ্বশুরবাড়ির লোকজন সুমিকে হত্যা করেছে।