সালথায় সংখ্যালঘুর বাড়িতে জুয়াড়িদের হামলা

ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় তিন জুয়াড়িকে আটক করা নিয়ে এক সংখ্যালঘুর বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করার অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে উপজেলার বল্লভদি ইউনিয়নের বিষ্ণুনদী গ্রামের সুবোধ কুণ্ডুর বাড়িতে এ হামলা চালায় জুয়াড়িরা। এ সময় হামলা ঠেকাতে এলে সুবোধ কুণ্ডু ও তাঁর স্ত্রী সরস্বতী কুণ্ডু আহত হন।
সুবোধ কুণ্ডুর ছেলে বিষ্ণ কুণ্ডু বলেন, ‘স্থানীয় কয়েকজন যুবক প্রতিদিন রাতে আমাদের বাড়ির সামনে বসে জুয়া খেলত। জুয়া খেলার সংবাদ পেয়ে সালথা থানা পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মোশারফ হোসেন গত বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে জুয়ার আসর থেকে পাশের কাগদী গ্রামের সাহিদ বিশ্বাস (২২), রতন মালো (২৫) ও বিষ্ণুনদী গ্রামের লিয়াকত শেখকে (২৬) আটক করেন। পরে ওই জুয়াড়িরা জামিনে মুক্তি পেয়ে আমাদের দোষারোপ করে যে, পুলিশকে নাকি আমরা খবর দিয়েছি। এই কারণে জুয়াড়ি সাহিদ বিশ্বাস ও তাঁর ভাইয়েরা ক্ষিপ্ত হয়ে শুক্রবার বিকেলে আমাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বসতঘর ব্যাপক ভাঙচুর চালান এবং ঘরে থাকা মালমাল লুটপাট করে নিয়ে যান। এ ঘটনায় আমরা মামলা করতে চাইলে স্থানীয় প্রভাবশালীরা মামলা করতে দেননি। তাঁরা বিষয়টি মীমাংসা করে দেবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।’
সুবোধ কুণ্ডুর ছেলেবউ টুম্পা কুণ্ডু অভিযোগ করে বলেন, ‘জুয়াড়িরা বসতঘর ভাঙচুর করার পর ঘরের মধ্যে ঢুকে আলমারি ভেঙে তিন লাখ ৭০ হাজার টাকা ও আনুমানিক ১৮ থেকে ২০ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় ঠেকাতে এলে আমার শ্বশুর-শাশুড়িকে মারপিট করে হামলাকারীরা।’
এদিকে খবর পেয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় স্থানীয় সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে ছবি তুলতে গেলে ওই এলাকার কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি সংবাদ না করার অনুরোধ করেন।
সালথা থানার এএসআই মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত বুধবার রাতে বিষ্ণুনদী গ্রামের মালোপাড়া এলাকা থেকে তিন জুয়াড়িকে আটক করা হয়। এরপর তাদের আদালতে পাঠানো হয়। জুয়াড়িরা জামিনে বেরিয়ে এসে সুবোধ কুণ্ডুর বাড়িতে হামলা করেছে বলে শুনেছি। এ ঘটনায় সংখ্যালঘুর পরিবার থানায় মামলা করতে এলেও স্থানীয়রা মামলা করতে দেয়নি।’