গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে করা পৃথক দুই মামলায় ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীনসহ ৫১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ আগামী ১৫ মার্চ দেবেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালতে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেওয়ার জন্য দিন নির্ধারণ ছিল। কিন্তু বিচারক আজ আদালতে উপস্থিত না থাকায় তাঁর পরিবর্তে ভারপ্রাপ্ত বিচারক জাকিয়া পারভীন নতুন করে এ দিন নির্ধারণ করেন।

এদিন মামলায় জামিনে থাকা আসামি ডেসটিনির প্রেসিডেন্ট সাবেক সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) হারুন-অর-রশীদ আদালতে হাজির ছিলেন।

কারাগারে থাকা ডেসটিনির এমডি রফিকুল আমীন ও ডেসটিনির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন, পরিচালক লে. কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম ও শফিউল ইসলামকে আদালতে হাজির করা হয়।

মামলায় পলাতক আছেন—ডেসটিনির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক গোফরানুল হক, পরিচালক মেজবাহ উদ্দিন, ফারাহ দীবা, সাঈদ-উর-রহমান, সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন, জমশেদ আরা চৌধুরী, ইরফান আহমেদ, শেখ তৈয়বুর রহমান, নেপাল চন্দ্র বিশ্বাস, জাকির হোসেন, জসিমউদ্দিন ভূঁইয়া, এস এম আহসানুল কবির, জুবায়ের হোসেন, মোসাদ্দেক আলী খান, আবদুল মান্নান, আবুল কালাম আজাদ, আজাদ রহমান, মো. আকবর হোসেন সুমন, মো. সুমন আলী খান, শিরীন আকতার, রফিকুল ইসলাম সরকার, মো. মজিবুর রহমান, ড. এম হায়দারুজ্জামান, মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, কাজী মো. ফজলুল করিম, মোল্লা আল আমীন, মো. শফিউল ইসলাম, সিকদার কবিরুল ইসলাম, মো. ফিরোজ আলম, ওমর ফারুক, সুনীল বরণ কর্মকার ওরফে এসবি কর্মকার, ফরিদ আকতার, এস সহিদুজ্জামান চয়ন, আবদুর রহমান তপন, মেজর (অব.) সাকিবুজ্জামান খান, এসএম আহসানুল কবির (বিপ্লব), এএইচএম আতাউর রহমান রেজা, গোলাম কিবরিয়া মিল্টন, মো. আতিকুর রহমান, খন্দকার বেনজীর আহমেদ, একেএম সফিউল্লাহ, শাহ আলম, মো. দেলোয়ার হোসেন, জেসমিন আক্তার (মিলন) ও মো. শফিকুল হক।

২০১৪ সালের ৪ মে গ্রাহকদের চার হাজার ১১৯ কোটি ২৪ লাখ এক হাজার ১৮২ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের দায়ে মাল্টিলেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) কোম্পানি ডেসটিনির ৫১ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। 

২০১২ সালের ৩১ জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার ও সহকারী পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম মামলা দুটি দায়ের করেন।