তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে আপত্তিজনক ব্ক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আরো একটি মানহানির মামলা করা হয়েছে।
আজ সোমবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে মহানগর হাকিম মোহাম্মদ ইউনূস খানের আদালতে মানহানির মামলাটি দায়ের করেন মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ফজলুল করিম আরিফ পাটোয়ারী।
ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে করা এ মামলায় তারেক রহমান ছাড়াও বিএনপির চেয়ারপারসনের সাবেক বিশেষ উপদেষ্টা জাহিদ এফ সরদার সাদী এবং বিএনপির আরো পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মীকে অজ্ঞাতনামা হিসেবে আসামি করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, “২০১৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশের ৪৪তম বিজয় দিবস উপলক্ষে যুক্তরাজ্যের পূর্ব লন্ডনের অট্রিয়াম হলে যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত এক সভায় তারেক রহমান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাজাকার, খুনি ও পাকবন্ধু বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতিতে শেখ মুজিব আওয়ামী লীগের লালসালু। এই লালসালুকে ঘিরে থাকা ভণ্ডরাই নিজেদের স্বার্থে যাকে তাকে রাজাকার আখ্যা দেয়। অথচ মুক্তিযুদ্ধে শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর পরিবার ও আওয়ামী লীগের কোনো ভূমিকা নেই।’
তারেক রহমান আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দাবি করে তাদের দল নাকি মুক্তিযুদ্ধের দল, অথচ চোরের দল চাটার দল আখ্যা দিয়ে শেখ মুজিব নিজেই আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন। এমন একটি কাজ করার জন্য তাহলে তো শেখ মুজিবই বড় রাজাকার।’”
এসব বক্তব্যের কথা উল্লেখ করে এর পরিপ্রেক্ষিতে সম্মানের হানি হওয়ার অভিযোগ এনে মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ফজলুল করিম আরিফ পাটোয়ারী মামলাটি দায়ের করেন। এতে ১০টি পত্রিকার সম্পাদককে সাক্ষী করা হয়েছে।
সিএমএম আদালত ২৭ এপ্রিলের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য রাজধানীর পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে তারেক রহমানের এই বক্তব্য প্রকাশিত হয়। তাঁর এ বক্তব্যে আওয়ামী লীগের ১০০ কোটি টাকার সম্মানহানি হয়েছে দাবি করে দণ্ডবিধি ৪৯৯/৫০০ ধারায় তারেকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
এরপর পল্টন থানায় একই অভিযোগে দায়ের করা আরেকটি মামলায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ২২ ডিসেম্বর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৩০ মার্চ দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।