সিঙ্গাপুরফেরত পাঁচ ‘আইএস সদস্য’ ঢাকায় গ্রেপ্তার

জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সঙ্গে জড়িত সন্দেহে সিঙ্গাপুর থেকে ফেরত পাঠানো পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বনশ্রীসহ আশপাশের এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ও মুখপাত্র মনিরুল ইসলাম।
২৯ এপ্রিল গ্রেপ্তার পাঁচজনকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠায় সিঙ্গাপুর সরকার।
ডিএমপির মুখপাত্র জানান, গ্রেপ্তার এসব ব্যক্তি আসলেই জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত কি না, তা জিজ্ঞাসাবাদের পরই নিশ্চিত হওয়া যাবে।
মনিরুল ইসলাম আরো বলেন, ‘সিঙ্গাপুর যেটি বলেছে, সে বিষয়টি আমরা যাচাই-বাছাই করব। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে গ্রেপ্তার করেছি। গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁদের বিরুদ্ধে ওখানে যে অভিযোগ, সেগুলোর সত্যতা সম্পর্কে, পাশাপাশি সেটি আমাদের বাংলাদেশের আইনের সঙ্গে কতটুকু সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং বাংলাদেশের আইনে যে শাস্তির ব্যবস্থা আছে, সে অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নেব।’
আজই সিঙ্গাপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলার পরিকল্পনায় জড়িত আট বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সিঙ্গাপুর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে জানানো হয়, এপ্রিল মাসে গ্রেপ্তার এ বাংলাদেশিরা ইসলামিক স্টেট ইন বাংলাদেশ বা আইএসবি নামে এক গোপন গোষ্ঠীর সদস্য।
সিঙ্গাপুরের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিদেশি যোদ্ধা হিসেবে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএসে যোগ দিতে ইচ্ছুক ছিলেন। তবে সিরিয়ায় যাওয়া কঠিন হবে বলে তাঁরা দেশে ফিরে গিয়ে সরকার উৎখাত করে ইসলামিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি বাংলাদেশকে আইএসের খেলাফতের অধীনে নিয়ে আসার পরিকল্পনা ছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হিসেবে বাংলাদেশের কিছু সরকারি ও সামরিক কর্মকর্তার নামের তালিকা, অস্ত্র ব্যবহার ও বোমা তৈরির পদ্ধতি-সংক্রান্ত কাগজ ও সরঞ্জাম এবং উগ্রপন্থী বই পাওয়া গেছে। র্যাব, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর নামের তালিকাও পাওয়া গেছে। এতে রয়েছে কিছু পুলিশ কর্মকর্তার নামও।