ভোলায় গাছের সঙ্গে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা

ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় মো. মোশারেফ হোসেন মশু (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে গাছের সঙ্গে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের বালিয়াকান্দি গ্রামের মো. নয়নের বাড়িতে হত্যার ঘটনা ঘটে।
পুলিশের ধারণা, শক্রতার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
এদিকে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী দুজন নারী বলেন, দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে চোর চোর শব্দ শুনে বলে তাঁরা দৌড়ে যান। এ সময় দেখতে পান নয়ন, মফিজ, মোসলেম, জেকু, মান্নান, কামাল নিহত মোশারেফ হোসেন মশুকে গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে বেধড়ক পেটান। এ সময় লোকজন কাছে যেতে চাইলে তাঁদের লাঠি ও অস্ত্র দেখালে তাঁরা এগিয়ে যেতে সাহস করেননি। এ ছাড়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করা হয়। নষ্ট করে দেওয়া হয় তাঁর চোখ।
নিহত মোশারেফ হোসেন মশু তজুমদ্দিন উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের উত্তর চাপড়ি গ্রামের মো. হানিফ মাতব্বরের ছেলে।
স্থানীয় লোকজন জানান, এক মাস আগে সাজি বাড়ির পাশের খেলার মাঠে নয়ন, মফিজ ও মোসলেম গাঁজা সেবন করা অবস্থায় মোশারেফ হোসেন মশু তাঁদের ধরে মারধর করেন। এ ঘটনা পরে তজুমদ্দিন উপজেলা চেয়ারম্যান ওহিদুল্লাহ জসিম মীমাংসা করে দেন।
তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস কে এম শাহিন মণ্ডল জানান, সকালে খবর পেয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা অবস্থায় লাশ, রশি ও লাঠি উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ওসি জানান, শক্রতার জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। কারণ যে বাড়িতে হত্যা করা হয়েছে ওই বাড়ির মালিক নয়ন একজন চোর। কিছুদিন আগেও তাকে আটক করা হয়েছিলে। এ ছাড়া নিহতের নামেও একাধিক থানায় বিভিন্ন মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করবেন বলে তাঁকে জানিয়েছেন।
যোগাযোগ করা হলে তজুমদ্দিন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ওহিদুল্লাহ জসিম বলেন, ‘আমি খেলা দেখতে গিয়েছি। এ সময় গাঁজা সেবনের ঘটনা নিয়ে মশু নয়নরে মারধর করে। পরে আমি ছাড়িয়ে দেই।’