খালেদা জিয়ার খনি দুর্নীতি মামলা আরো ৬ মাস স্থগিত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম আরো ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি নূরুজ্জামান ও বিচারপতি জাফর আহমেদের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এর আগে গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা এই মামলা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছিল। আজ খালেদা জিয়ার পক্ষে তাঁর আইনজীবীরা আবারও স্থগিতের জন্য আবেদন করলে আদালত এই আদেশ দেন।
এ প্রসঙ্গে খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমরা আদালতকে শুনানিতে বলেছি, মামলার স্ট্যাটাস আগের মতোই আছে। আইন অনুসারে দুদক এ মামলা করেনি। তাই মামলার কার্যক্রম স্থগিত রাখা হোক।’
এদিকে, এ মামলা কেন বাতিল করা হবে না জানতে জারি করা একটি রুলের শুনানি অপেক্ষমাণ রয়েছে। গতকাল বুধবার খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুদকের করা বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির মামলাটি বাতিলের জন্য জারি করা রুলের শুনানির জন্য বিচারপতি নূরুজ্জামান ও বিচারপতি জাফর আহমেদের এই বেঞ্চ গঠন করেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা।
২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ও তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা দায়ের করা হয়। দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, কয়লা উত্তোলনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা সিএমসির সঙ্গে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করায় সরকারের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির অনুমোদন দিয়ে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি করা হয়।
খালেদা জিয়া ছাড়া চারদলীয় জোট সরকারের তৎকালীন সমবায় ও পল্লী উন্নয়নমন্ত্রী আবদুল মান্নান ভূঁইয়া (মৃত), অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান (মৃত), তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী, তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন তথ্যমন্ত্রী শামসুল ইসলাম, তৎকালীন কৃষিমন্ত্রী এম কে আনোয়ার, তৎকালীন সমাজকল্যাণমন্ত্রী আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়েছিল। পরে এ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়া হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেন। শুনানি শেষে ২০০৮ সালের ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম তিন মাস স্থগিত করেন। একই সঙ্গে মামলা দায়ের ও কার্যক্রম কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। পরে কয়েক দফা সময় আবেদন করে মামলার স্থগিতাদেশ বৃদ্ধি করা হয়। এ মামলায় খালেদা জিয়া স্থায়ী জামিনে রয়েছেন।