গোপালগঞ্জে দুই সংঘর্ষে নারীসহ আহত ৩০

গোপালগঞ্জ সদর ও মুকসুদপুর উপজেলায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পৃথক দুটি সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে।
আজ রোববার সকালে সদর উপজেলার দিঘারকুল এবং মুকসুদপুর উপজেলার গোপালপুর গ্রামে এসব সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।
মারাত্মক আহতদের ঢাকা পঙ্গু হাসপাতাল, ফরিদপুর মেডিকেল হাসপাতাল, গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ও মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার দিঘারকুল গ্রামের মহারাজ মোল্লা ও চাচাতো ভাই মোশাররফ মোল্লার মধ্যে জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে আজ রোববার দুই পক্ষই দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় বেশ কয়েকজন সড়কিবিদ্ধ হয়।
এ সময় নারীসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়। মারাত্মক আহত সাতজনকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সেখানকার পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
অন্যদিকে, মুকসুদপুর উপজেলার গোপালপুর গ্রামে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আবুল হোসেন মুন্সী ও শহর আলী কাজীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এরই জের ধরে আজ সকালে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়।
মারাত্মক আহত তিনজনকে প্রথমে মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে অবস্থার অবনতি ঘটলে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তিনজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান।