জঙ্গিবিরোধী সমাবেশ নিয়ে রণক্ষেত্র হাতিয়া

জঙ্গি ও সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হাতিয়া রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।
আজ রোববার বিকেলে আওয়ামী লীগের উপজেলা কমিটির সভাপতি সাবেক এমপি অধ্যাপক ওয়ালী উল্লাহ এবং দলটির সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলী সমর্থিত নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
এ সময় হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিসুল হক, উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম, চার কনস্টেবল এবং আওয়ামী লীগের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়। আহতদের মধ্যে ১৫ জনকে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
হাতিয়া থানার ওসি আরিসুল হক জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে হাতিয়ার ওছখালী বাজারে ঈদ পুনর্মিলনী এবং জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসের প্রতিবাদে সমাবেশের আহ্বান করা হয়। সভাস্থলে আসার পথে ওছখালী বাজারের অদূরে একপক্ষ অপর পক্ষের ওপর গুলিবর্ষণ করে এবং হামলা চালায়।
বাজারের আরেক প্রান্তে সৌদিয়া বাজারের কাছে সোনাদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মালয়েশিয়ার নেতৃত্বে শতাধিক নেতাকর্মী সমাবেশস্থলে আসার পথে তাদের ওপরও গুলিবর্ষণ ও হামলা চালানো হয়।
এ সময় অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়। আহতদের মধ্যে ফজর আলী (৪০), আক্তার (২২), কুদ্দুস (২০), জামাল (২৮), রুবেল (১৮), রাশেদ (২৩), সাহিদ (১৮), সুজন (২০), হক সাহেব (৩৩), সাদেক (২০), লোকমান (২২), ইউনুছ (৪০), আবদুস কুদ্দুস (২৫), রবিজ উদ্দিন (৩০) ও আবুল বাসারকে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এ ছাড়া মোহাম্মদ আলীর বাসার পাশে লক্ষ্মীদিয়া এমপি পুলের কাছে তৃতীয় দফা রাস্তা অবরোধ করে দফায় দফায় হামলার ঘটনা ঘটানো হয়।
এর আগে হরনী-চানন্দী ইউনিয়নের খাসেরহাট বাজারে ২৬টি দোকান লুটপাট ও মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে বলে জানায় পুলিশ।
এসব হামলার জন্য সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর সমর্থকদের দায়ী করেছে প্রতিপক্ষ।
তবে এ ব্যাপারে চেষ্টা করেও মোহাম্মদ আলীর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এসব ঘটনায় হাতিয়া শহরে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু হাসনাত মো. মইন উদ্দিন জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।