গুলশান হামলা : দুই নারীর জবানবন্দি

রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারি রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী দুই নারী আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। স্বাক্ষীরা হলেন ফায়রুজ মালিহা ও তাহানা তাসমিয়া।
আজ রোববার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেরিজমের পরিদর্শক হুমায়ুন কবির তাঁদের দুইজনকে হাজির করে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মোতাবেক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন।
আবেদন পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম এস এম মাসুদ জামানের আদালতে ফায়রুজ মালিহা ও ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যপ্রদ সিকদারের আদালতে তাহানা তাসমিয়া জবানবন্দি দেন।
এ নিয়ে গুলশান হামলার ঘটনায় আদালতে ১১ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিলেন। অন্য ৯ জন হলেন হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁর ক্যাশিয়ার আল-আমিন চৌধুরী সিজান, ওই রেস্তোরাঁর কর্মী মিরাজ হোসেন, রাসেল মাসুদ, বাবুর্চি মো. শাহিন, শাহরিয়ার, তুহিন, শিশির ও মেট্রোরেল প্রকল্পের ড্রাইভার বাসেদ সরদার এবং রেস্তোরাঁয় খেতে আসা ভারতীয় নাগরিক সত্য প্রকাশ।
নথি থেকে জানা যায়, গত ১ জুলাই রাত পৌনে ৯টায় গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় অস্ত্রধারী জঙ্গিরা হামলা চালিয়ে দেশি-বিদেশি নাগরিকদের জিম্মি করে।
এ সময় অভিযান চালাতে গিয়ে জঙ্গিদের গ্রেনেড হামলায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন খান নিহত হন। রাতের বিভিন্ন সময় তিন বাংলাদেশিসহ ২০ জন জিম্মিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করে জঙ্গিরা। পরদিন সকালে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী কমান্ডো অভিযান চালায়। এতে পাঁচ হামলাকারী ও রেস্তোরাঁর এক কর্মী নিহত হয়। জীবিত উদ্ধার করা হয় ১৩ জিম্মিকে।
এই ঘটনায় নিহত জঙ্গিরা হলেন মীর সামেহ মোবাশ্বের, রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, নিবরাস ইসলাম, খায়রুল ইসলাম পায়েল ও সফিকুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বল।
রেস্টুরেন্টে হামলার পর গত ৪ জুলাই রাতে গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রিপন কুমার দাস বাদী হয়ে সন্ত্রাস দমন আইনে গুলশান থানায় একটি মামলা করেন।