পিন্টুর মৃত্যুর বিচার বিভাগীয় তদন্ত চাইলেন নেতারা

বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ পিন্টুর মৃত্যুকে রহস্যজনক উল্লেখ করে এর বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছেন দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারা।
আজ সোমবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে পল্টনের দলীয় কার্যালয়ের সামনে পিন্টুকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে এসে এ দাবি জানান নেতারা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, নাসির উদ্দিন পিন্টুর মৃত্যু নিয়ে নানা প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে। এ মৃত্যু রহস্যজনক। সরকারের উচিত, তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় বিচার বিভাগীয় কমিটি করে মৃত্যুর বিষয়টি তদন্ত করা। তাহলে এ প্রশ্নগুলোর উত্তর মিলবে।
ঢাকা থেকে কেন পিন্টুকে হঠাৎ করে রাজশাহীতে স্থানান্তর করা হলো—এমন প্রশ্ন রেখে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার বলেন, তিনি ঢাকায় থাকলে উনাকে আরো ভালো চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হতো, উনি ভালো চিকিৎসা পেতেন। এসব কারণে তাঁর মৃত্যু নিয়ে নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।
এ ছাড়া পিন্টুর আকস্মিক মৃত্যুতে সরকারকে দায়ী করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ। তিনি বলেন, ‘সরকারের অবহেলায় পিন্টুর মৃত্যু হয়েছে অথবা সরকার জেনেশুনে তাঁকে সুচিকিৎসা দেয় নাই।’
নাসির উদ্দিন পিন্টুর একসময়ের রাজনৈতিক সহকর্মী ও বর্তমান ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল বলেন, ‘পিন্টুর মৃত্যুতে ছাত্রদলসহ বিএনপির সব অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা শোকাহত। পিন্টুর মতো নেতার এভাবে মৃত্যু আমরা স্বাভাবিকভাবে দেখছি না। এ মৃত্যু রহস্যজনক। আজ না হলেও একদিন পিন্টুর এই মৃত্যু রহস্য উন্মোচিত হবে।
গতকাল রোববার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে রাজশাহীতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান পিন্টু। এ সময় তিনি রাজশাহী কারাগারে ছিলেন। অসুস্থ অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ পিন্টুকে বিডিআর বিদ্রোহ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন নিম্ন আদালত। এ মামলায় ছয় বছরের বেশি সময় তিনি কারাগারে আটক ছিলেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে তাঁর করা আপিল হাইকোর্টে বিচারাধীন আছে। গত ২০ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থেকে পিন্টুকে রাজশাহী কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতিসহ বিএনপির বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ পিন্টু। ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির পক্ষে নির্বাচন করে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন তিনি।