গুলশান হামলার চার অস্ত্র ‘সরবরাহকারী’ রিমান্ডে

রাজধানী গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলায় অস্ত্র ‘সরবরাহকারী’ জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) চার সদস্যকে তিনদিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামিদের হাজির করে দারুস সালাম থানার অস্ত্র মামলায় ১০ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর হাকিম স্নিগ্ধা রানী চক্রবর্তী তিনদিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
গতকাল বুধবার রাত ৯টায় রাজধানীর দারুসসালাম থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চার ‘জঙ্গি’কে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ ইউসুফ আলী জানান, দারুসসালাম থানা এলাকা থেকে মো. আবু তাহের (৩৭), মিজানুর রহমান (৩৪), মো. সেলিম মিয়া (৪৫) ও তৌফিকুল ইসলাম ওরফে ডা. তৌফিক (৩২) নামের চার জেএমবি সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ সময় জঙ্গিদের কাছ থেকে ৭৮৭টি গ্রেনেড তৈরির উপকরণ, ডেটোনেটর এবং একটি নাইন এমএম বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়।
মোহাম্মদ ইউসুফ আলী আরো জানান, গ্রেপ্তার হওয়া সবাই জেএমবির সক্রিয় সদস্য। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জঙ্গিরা জানিয়েছে, ভারতীয় সীমান্তবর্তী চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ দিয়ে অস্ত্র ও বিস্ফোরক চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত তারা। সম্প্রতি দেশে যেসব জঙ্গি হামলা হয়েছে, সেসব হামলার অস্ত্র বিস্ফোরক দ্রব্য সরবরাহ করেছে তারা।
পুলিশ জানায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেএমবির প্রধান মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান ওরফে তারা বিস্ফোরক ও অস্ত্র সংগ্রহের মূল হোতা। ঢাকায় নতুন করে নাশকতা সৃষ্টির জন্যই উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও ডেটোনেটরগুলো ঢাকায় এনেছিল। এ ছাড়া হলি আর্টিজানে হামলার আগে এ হামলার পরিকল্পনাকারী তানিম চৌধুরী ও মারজানের কাছে সরাসরি অস্ত্র সরবরাহ করেছিল সে।