গুলশানে দগ্ধ দুই নারীর অবস্থা আশঙ্কাজনক

রাজধানীর গুলশানে অগ্নিদগ্ধ তিন নারীর মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। চিকিৎসকরা জানিয়েছে, দুজনকে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
আজ সোমবার সকালে গুলশানে একটি বহুতল ভবনের তৃতীয় তলায় ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। দগ্ধ তিনজন হচ্ছেন, শরিফা (১৮), বেদানা (২০) ও পারভিন (৩৭)। এরা গৃহকর্মী হিসেবে ওই বাড়িতে কাজ করতেন।
দগ্ধ তিন নারী বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন। বার্ন ইউনিটের চিকিৎসক পার্থ শংকর জানান, শরিফা আক্তারের শরীরের বেশির ভাগই পুড়ে গেছে। বেদানার শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গেছে আর পারভিনের শরীরের ২০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনজনের মধ্যে শরিফা ও বেদানার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান পার্থ শংকর।
‘জমে থাকা গ্যাসের কারণে’
পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে, গ্যাস লাইন বিস্ফোরণ থেকে নয় বরং জমে থাকা গ্যাসের কারণে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। গুলশান থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) সালাউদ্দিন আহমেদ জানান, গ্যাসের চুলা সারা রাত চালু অবস্থায় ছিল। পরে চুলা চালু করার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে জমে থাকা গ্যাসে তারা দগ্ধ হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সালাউদ্দিন আহমেদ আরো জানান, পারভিন ওই বাসায় গৃহকর্মী হিসাবে কাজ করেন । অন্য দুজন তাঁর সহযোগী। আর এ ঘটনার সময় বেদানার পাশে ছিলেন পারভীন ও শরিফা আক্তার।
পারভিনের ছোট বোন শ্রাবণী জানান, গুলশানের ওই বাসায় প্রধান গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করেন পারভিন। তিন সন্তানের জননী পারভিনের গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর জেলায় গেরুদায়। পারভিনের স্বামী রাজিব হোসেন মারা গেছেন।
অন্যদের মধ্যে দগ্ধ শরিফা আক্তারের গ্রামের বাড়ি নরসিংদীর মাধবদী উপজেলার নওয়াপাড়ায়। তাঁর বাবার নাম ফেরদৌস ইসলাম। অন্যদিকে বেদানা আক্তারের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার শ্রীপুরে। তাঁর বাবার নাম মো. শহিদ।