বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় ৫ ‘নব্য জেএমবি’ রিমান্ডে

রাজধানীর বিমানবন্দর থানার বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের একটি মামলায় নব্য জেএমবির পাঁচ সদস্যকে ছয়দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
আজ শনিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বিমানবন্দর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শেখ জহিরুল ইসলাম মুন্না আসামিদের হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আসামিদের আইনজীবী কামাল হোসেন রিমান্ডের আবেদন নাকচ করে জামিনের আবেদন করেন।
রিমান্ড আবেদনে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা সরকারকে উৎখাতের উদ্দেশ্যে অপরাধ সংঘটনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে নিজেদের সংগঠনকে সুগঠিত করার ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করার পরিকল্পনা করছিল। এমতাবস্থায় মামলার মূল রহস্য উদঘাটন, সহযোগী পলাতক অপর আসামিদের গ্রেপ্তার এবং মূল অপরাধী চক্র শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করার জন্য আসামিকে নিবিড়ভাবে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যাবে। সে জন্য তাদের ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া আবশ্যক।
শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সারাফুজ্জামান আনছারী জামিনের আবেদন খারিজ করে রিমান্ডের আদেশ দেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ, তদন্ত ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) আনিসুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে জানান,
রিমান্ডে নেওয়া আসামিরা হলেন মাওলানা আবদুল হাকিম ফরিদী ওরফে সুফিয়ান (৪০), রাজীবুল ইসলাম ওরফে রাজীব ওরফে আহমেদ (২৯), গাজী কামরুস সালাম সোহান ওরফে আবু আবদুল্লাহ (২৭), মো. সোহেল রানা ওরফে খাদেম ওরফে মোয়াজ্জিন ওরফে সোহেল ওরফে শহীদুল্লাহ (২৩) ও শেখ মো. আবু সালেহ ওরফে লিটন ওরফে হুরাইয়া (৪২)।
এজাহার থেকে জানা যায়, গত ১৬ নভেম্বর রাত সোয়া ৮টায় বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে মাওলানা আবদুল হাকিম ফরিদী ওরফে সুফিয়ান ও রাজীবুল ইসলাম ওরফে রাজীব ওরফে আহমেদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-২।
পরে তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাত সাড়ে ১২টায় আদাবরের মোহাম্মদিয়া ক্যাফে থেকে গাজী কামরুস সালাম সোহান ওরফে আবু আবদুল্লাহ, মো. সোহেল রানা ওরফে খাদেম ওরফে মোয়াজ্জিন ওরফে সোহেল ওরফে শহীদুল্লাহ ও শেখ মো. আবু সালেহ ওরফে লিটন ওরফে হুরাইয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।