রয়টার্সের প্রতিবেদনের সত্যতা নিয়ে ডিএমপির কাছে তথ্য নেই

রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলার আগে এর ‘হোতা’ তামিম চৌধুরী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) অনুমতি নিয়েছিলেন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সে সম্পর্কে কোনো তথ্য নেই ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে।
আজ শনিবার সকালে ডিএমপি সদর দপ্তরে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের চেক প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।
রয়টার্সের খবরের সত্যতার বিষয়ে পুলিশের কাছে কোনো তথ্য নেই জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘যেটা রয়টার্স বলছে এই সংক্রান্ত কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। যেহেতু তথ্য নেই সুতরাং এই ব্যাপারে আমরা মন্তব্য করতে চাই না। তবে যেহেতু আপনি বলেছেন, আমরা বিষয়টা জেনেছি সেটাও আমাদের গোয়েন্দারা, আমাদের অফিসাররা এটা অনুসন্ধান করে দেখবেন। এবং আমরা মনে করি না যে বড় ধরনের অপরাধ সংঘটনের মতো সক্ষমতা তাদের আছে। কারণ ইতিমধ্যে কিন্তু আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আমাদের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট এ বিষয়গুলো নিয়ে তাঁরা কাজ করে যাচ্ছে।’
গুলাশান হামলার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার কারণে সব কিছু এখন নিয়ন্ত্রণের মধ্য আছে বলেও এসব দাবি করেন আছাদুজ্জামান মিয়া।
গত ১ জুলাই রাতে ঢাকার গুলশানের রেস্তোরাঁ হলি আর্টিজান বেকারিতে দেশি-বিদেশি নাগরিকদের জিম্মি করে সন্ত্রাসীরা। সেখানে উদ্ধার অভিযান চালাতে গিয়ে জঙ্গিদের হামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। হামলার প্রায় ১০ ঘণ্টা পর ২ জুলাই সকালে রেস্তোরাঁয় ‘অপারেশন থান্ডারবোল্ট’ পরিচালনা করে যৌথ বাহিনী। এরপর সেখান থেকে ২৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এঁদের মধ্যে ইতালীয় নয়জন, সাতজন জাপানি, তিনজন বাংলাদেশি, ভারতীয় একজন। বাকি ছয়জন হামলাকারী বলে জানায় সেনাবাহিনী।
তদন্তের একপর্যায়ে এই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী এবং অর্থ-অস্ত্রের জোগানদাতা হিসেবে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক তামিম আহমেদ চৌধুরী ও সেনাবাহিনীর বহিষ্কৃত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হকের নাম জানান পুলিশ মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক। পরে গত ২৭ আগস্ট নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার পাইকপাড়া কবরস্থানের পাশে একটি জঙ্গি আস্তানায় পুলিশের অভিযানে তামিম আহমেদ চৌধুরীসহ তিনজন নিহত হন।
গত বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, হলি আর্টিজানে হামলার আগে আইএসের অনুমোদন নিয়েছিলেন তামিম চৌধুরী। বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হওয়ার পর আজ নিজেদের অবস্থান জানাল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।