অবশেষে সেপটিক ট্যাংকে মিলল স্কুলছাত্রের লাশ

গাজীপুরের বিপ্রবর্থা এলাকায় নিখোঁজের এক সপ্তাহ পর অবশেষে বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে পাওয়া গেল স্কুলছাত্র আতিকুর রহমানের মরদেহ।
আজ শুক্রবার সকালে বিপ্রবর্থা এলাকার দীঘি মৎস্য খামারের পাশে স্থানীয় সিরাজের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে আতিকের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে পরিবারের সদস্যরা গিয়ে তা শনাক্ত করে।
দুপুরে পুলিশ আতিকের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এর আগে এ ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে চারজনকে আটক করে পুলিশ।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ ফারুক আহম্মেদ জানিয়েছিলেন, স্থানীয় বিপ্রবর্থা এলাকার আতিকুর রহমান (১৫) এবার কাউলতিয়া জহির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। পরীক্ষা শেষে দরিদ্র পরিবারের সন্তান আতিক ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ নেয়।
গত শুক্রবার রাতে আতিক ইটভাটার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। আতিক নিখোঁজ হওয়ার পর গত সোমবার দুপুরে তার সঙ্গে থাকা ওই চারজনকে ডেকে স্থানীয়রা সালিস করে। এ সময় তারা একেকবার একেক তথ্য দিলে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। পরে তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
আটকরা হলেন ট্রাকচালক আবদুল আলিম, শ্রমিক খোরশেদ, শাহিনুর রহমান ও শফিকুর রহমান।
আটক শাহীনুর পুলিশকে জানান, ঢাকায় ইটের চালান নিয়ে যাওয়ার পর ট্রাকের ডালার আঘাতে মারা যায় আতিক। পরে নিহত আতিকের লাশ গাজীপুর এনে ইটভাটার মালিক ইমরান দেওয়ানের কাছে হস্তান্তর করেন তাঁরা।