দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. আবদুল মোমেন বলেছেন, ৫ আগস্টের মতো বিভিন্ন সময় যে আন্দোলন সৃষ্টি হয় তার কারণ হলো সমাজে আমরা এক ধরনের অবিচার লালন করি। আর প্রত্যেকটি অবিচারের বীজ হলো দুর্নীতি। আমাদের সবার আকাঙ্ক্ষা ন্যায়বিচার ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা। তাই  দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং দুর্নীতি প্রতিরোধের জন্য প্রয়োজন  সদিচ্ছা। 

আজ বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে কুমিল্লা শিল্পকলা একাডেমিতে গণশুনানি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তবে এ কথা বলেন দুদক চেয়ারম্যান।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন,  দুর্নীতি দমন কমিশনে যারা কাজ করছেন তারা যদি দুর্নীতিতে না জড়ান তাহলে দুর্নীতি অনেকাংশেই কমে আসবে। 

দুদক চেয়ারম্যান আরও বলেন, আমাদের প্রধান আকাঙ্ক্ষা ন্যায়বিচার ভিত্তিক একটি সমাজ গঠন।  এই সমাজে একেবারেই দুর্নীতি নির্মূল হবে সেটা আমি বলছি না, দুর্নীতি আগেও ছিল ভবিষ্যতে থাকবে। কিন্তু ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা হলে দুর্নীতি আমরা অনেকটাই কমিয়ে নিয়ে আসতে পারব। এজন্য প্রয়োজন সংশ্লিষ্ট সবার সদিচ্ছা। যদি আমাদের সদিচ্ছা থাকে তাহলে দুর্নীতি অনেকটাই কমে আসবে। এটা যদি নিশ্চিত করা যায় যে, এ দপ্তরে যারা কাজ করছেন, তারা দু্র্নীতি করছেন না, তাহলে মনে করবেন যে বেশ খানিকটা অগ্রগতি হয়েছে। 

গণশুনানিতে দুদক চেয়ারম্যান বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগ ও তাদের বক্তব্য শুনেন এবং তাৎক্ষণিক নিষ্পত্তির নির্দেশনা দেন।

প্রতারণা করে পারিবারিক দ্বন্দ্ব সৃষ্টি ও হয়রানির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পূবালী ব্যাংক কুমিল্লা শাখার ম্যানেজার মঈনুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। 

দুদকের কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের সূত্রে জানা গেছে, গণশুনানির জন্য দুদুকে মোট ১২১টি অভিযোগ জমা পড়ে। এর মধ্যে যাচাই-বাছাই করে ৪০টি অভিযোগের শুনানি হয়। 

গণশুনানি অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন দুদকের কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী, কমিশনার (অনুসন্ধান) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাফিজ আহ্সান ফরিদ, কুমিল্লার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ, দুদক চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ে উপপরিচালক মো. আবুল হোসেন, কুমিল্লা জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি আলহাজ শাহ মোহাম্মদ আলমগীর খান।

গণশুনানি পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসক মো আমিরুল কায়ছার।