Skip to main content
NTV Online

বাংলাদেশ

বাংলাদেশ
  • অ ফ A
  • রাজনীতি
  • সরকার
  • অপরাধ
  • আইন ও বিচার
  • দুর্ঘটনা
  • সুখবর
  • অন্যান্য
  • হাত বাড়িয়ে দাও
  • মৃত্যুবার্ষিকী
  • শোক
  • কুলখানি
  • চেহলাম
  • নিখোঁজ
  • শ্রাদ্ধ
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • অর্থনীতি
  • শিক্ষা
  • মত-দ্বিমত
  • শিল্প ও সাহিত্য
  • জীবনধারা
  • স্বাস্থ্য
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • ভ্রমণ
  • ধর্ম ও জীবন
  • নির্বাচন
  • সহজ ইংরেজি
  • প্রিয় প্রবাসী
  • আইন-কানুন
  • চাকরি চাই
  • অটোমোবাইল
  • হাস্যরস
  • শিশু-কিশোর
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • English Version
  • এনটিভি বাজার
  • এনটিভি কানেক্ট
  • যোগাযোগ
  • English Version
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি অস্ট্রেলিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি কানেক্ট
  • ভিডিও
  • ছবি
  • এনটিভির অনুষ্ঠান
  • বিজ্ঞাপন
  • আর্কাইভ
  • কুইজ
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • অর্থনীতি
  • শিক্ষা
  • মত-দ্বিমত
  • শিল্প ও সাহিত্য
  • জীবনধারা
  • স্বাস্থ্য
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • ভ্রমণ
  • ধর্ম ও জীবন
  • নির্বাচন
  • সহজ ইংরেজি
  • প্রিয় প্রবাসী
  • আইন-কানুন
  • চাকরি চাই
  • অটোমোবাইল
  • হাস্যরস
  • শিশু-কিশোর
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • English Version
  • এনটিভি বাজার
  • এনটিভি কানেক্ট
  • যোগাযোগ
  • English Version
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি অস্ট্রেলিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি কানেক্ট
  • ভিডিও
  • ছবি
  • এনটিভির অনুষ্ঠান
  • বিজ্ঞাপন
  • আর্কাইভ
  • কুইজ
Follow
  • বাংলাদেশ
  • অন্যান্য
ছবি

প্রকৃতিপ্রেমী বুবলী

ইউরোপের রাজাদের বিজয় উদযাপন

স্মার্ট লুকে কেয়া পায়েল

বর্ণিল আয়োজনে ‘মার্সেল হা-শো’ গ্র্যান্ড ফিনাল

জাপানে প্রধান উপদেষ্টা

কানে নজরকাড়া লুকে জাহ্নবী কাপুর

বর্ণিল সাজে সেমন্তী সৌমি

লাল টুকটুকে মিম

একান্তে তাহসান-রোজা

মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর ৫ খাবার

ভিডিও
এক্সপার্ট টুডেস কিচেন : পর্ব ৩০০
এক্সপার্ট টুডেস কিচেন : পর্ব ৩০০
টেলিফিল্ম : প্রিয় অভিভাবক
টেলিফিল্ম : প্রিয় অভিভাবক
দরসে হাদিস : পর্ব ৬৫১
দরসে হাদিস : পর্ব ৬৫১
রাতের আড্ডা : পর্ব ০৭
জোনাকির আলো : পর্ব ১২৪
মিউজিক নাইট : পর্ব ১৯৫
মিউজিক নাইট : পর্ব ১৯৫
গানের বাজার, পর্ব ২৩৪
নাটক : প্রেম আমার
নাটক : প্রেম আমার
আপনার জিজ্ঞাসা : পর্ব ৩৩৭৫
আপনার জিজ্ঞাসা : পর্ব ৩৩৭৫
এই সময় : পর্ব ৩৮২৪
এই সময় : পর্ব ৩৮২৪
ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশ (ইউএনবি)
২২:২৫, ৩১ মার্চ ২০২৫
আপডেট: ২২:৩০, ৩১ মার্চ ২০২৫
ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশ (ইউএনবি)
২২:২৫, ৩১ মার্চ ২০২৫
আপডেট: ২২:৩০, ৩১ মার্চ ২০২৫
আরও খবর
ঈদ কেন্দ্রিক নিরাপত্তায় পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের পরামর্শ
প্রিয় নেত্রীকে ‘কালো মানিক’ উপহার দিতে চান সোহাগ
সৌদি আরবে ঈদুল আজহা হতে পারে যেদিন
ঈদ উইথ শাওমি ক্যাম্পেইনে জয়ী পাঁচজনকে মেগাপুরস্কার দিলেন তামিম ইকবাল
ঈদ সামনে রেখে গরু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত খামারিরা

জেন-এক্স প্রজন্মের কাছে জেন-জির ঈদ উদযাপন একেবারেই অচেনা

ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশ (ইউএনবি)
২২:২৫, ৩১ মার্চ ২০২৫
আপডেট: ২২:৩০, ৩১ মার্চ ২০২৫
ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশ (ইউএনবি)
২২:২৫, ৩১ মার্চ ২০২৫
আপডেট: ২২:৩০, ৩১ মার্চ ২০২৫
ঈদের নামাজের পর কোলাকুলির পুরোনো ছবি

আজ থেকে অর্ধশত বছর আগে রাজধানী ঢাকায় যেভাবে ঈদ উদযাপন হতো, সময়ের ব্যবধানে সেসব এখন সুদূর অতীত। ষাটের দশকের জেন-এক্স প্রজন্মের কাছে বর্তমান সময়ের জেন-জি প্রজন্মের ঈদ উদযাপন একেবারেই অচেনা। এর মাঝে পড়ে ঈদ নিয়ে বড় রকমের স্মৃতি কাতরতায় ভোগে নব্বইয়ের দশকের মিলেনিয়ালস প্রজন্ম।

পাকিস্তান আমলের আগে রাজধানী ঢাকার ঈদ উদযাপনের রূপ দেখতে চাইলে ইতিহাসের দ্বারস্থ হতে হবে। তবে পাকিস্তান আমল থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধের পর সত্তরের দশকের ঢাকার ঈদ উদযাপনের সঙ্গে বর্তমান ঈদের তেমন কোনো মিল নেই—বলছে জেন-এক্স প্রজন্ম।

বিশেষ করে একবিংশ শতাব্দীতে জন্ম নেওয়া জেন-জি প্রজন্মের সঙ্গে ১৯৬৫ সালের দিকে জন্ম নেওয়া মানুষের ঈদ উদযাপনের স্মৃতির তেমন কোনো মিল নেই বললেই চলে। যদিও জেন এক্স প্রজন্মের মানুষদের দাবি, তাদের পূর্ববর্তী প্রজন্ম, যারা ১৯৬৫ সালের আগে জন্ম নিয়েছেন, অর্থাৎ যাদের খাতা-কলমে ‘বেবি বুমার জেনারেশন’ বলা হয়, তাদের সঙ্গে ঈদ উদযাপনে বেশ মিল ছিল জেন এক্সদের।

স্মৃতির পাতায় পুরান ঢাকার ঈদ

পুরান ঢাকায় প্রায় চল্লিশ বছর ধরে যন্ত্রাংশের ব্যবসা করেন শাহ আলি মিয়া (৬২)। শৈশবের স্মৃতিচারণা করে রাজধানীর ঈদ উদযাপন নিয়ে কথা হয় তার সঙ্গে। স্মৃতির পাতা খুলে তিনি বলেন, ‘ঢাকা তখনও এতটা বিস্তৃত হয়নি, অভিজাত হয়ে উঠেনি গুলশান-বনানী এলাকা। ঈদের আসল আনন্দ মানেই ছিল পুরান ঢাকার ঈদ উদযাপন। চাঁদ রাতের সবচেয়ে বড় উৎসব ছিল ইফতার শেষ করেই চাঁদ দেখতে সদরঘাট-সোয়ারিঘাটে বুড়িগঙ্গার পারে চলে যাওয়া। নদীর পাড়ে বসে স্বচ্ছ জলে চাঁদ দেখার যে চেষ্টা সেটি আজও ভোলার মতো না।’

শাহ আলি মিয়া বলেন, ‘আমাদের বাপ-দাদাদের থেকে শুনেছি সে সময়ের অভিজাতরা আগে থেকেই নৌকা ভাড়া করে রাখতেন। ইফতারের পর নৌকায় করে মাঝ নদীতে যেতেন বন্দুক হাতে চাঁদ দেখতে। নদীর স্বচ্ছ জলে চাঁদ দেখা গেলে বন্দুকে ফাঁকা আওয়াজ করে সবাইকে জানানো হতো আগামীকাল ঈদ। একবার ফাঁকা গুলি ছোড়া শুরু হলে বিভিন্ন নৌকা থেকে ঘণ্টাব্যাপী চলতো এই উদযাপন।’

ভারাক্রান্ত কণ্ঠে বলে চলেন শাহ আলি। বলেন, ‘ঈদের দিন সকালে প্রথম যে মিষ্টান্ন খেয়ে সবাই নামাজে যেতাম, সেটির নাম ছিল শির খুরমা। সুপারি কাটার সর্তা দিয়ে পাতলা করে কাটা খেজুর আগের রাতে ঘন করে জ্বাল দেওয়া গরুর দুধে ভিজিয়ে রাখা হতো। সকালে এই পানীয় খেয়েই নামাজে রওনা হতাম আমরা।’

শৈশবে শির খুরমা পেয়েছিলেন ৩৫ বছর বয়সী সফিউল রহমানও। তবে বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পায়েস আর সেমাই সেই জায়গাটি দখল করে নেয় বলে জানান এই করপোরেট চাকুরে।

বেচারাম দেউড়ি এলাকার এই বাসিন্দা বলেন, ‘বাপ-দাদাদের সময়েও যে সেমাইয়ের প্রচলন ছিল না, তা নয়। কিন্তু প্যাকেটজাত সেমাইয়ের কদর না থাকায় সে সময়ে চুটকি নামের এক মেশিনে আগের রাতে সেমাই প্রস্তুত করা হতো। নামাজ শেষে ঘরে ফিরলে সেমাই পরিবেশিত হতো।’

‘আশির দশক থেকেই প্যাকেটজাত সেমাইয়ের দৌরাত্ম্য বাড়ায় আমাদের ঘর থেকে চুটকি বিদায় নিল। আর শির খুরমার জায়গায় লাচ্ছা সেমাইয়ের সঙ্গে মিষ্টি বাকরখানি হয়ে উঠল ঈদের জনপ্রিয় খাবার।’

বর্তমান সময়ে এসেও মিলেনিয়ালস ও জেন-এক্সরা ঈদের দিন সেমাই কিংবা পায়েস খেতেই চান। তবে প্রজন্মের পরিবর্তনে জেন-জির রুচিতে এসেছে পরিবর্তন। তাদের মধ্যে পুডিং, ফালুদা, ফ্রুট কাস্টার্ডের মতো খাবারের কদর বেশি।

কলেজছাত্র সাইমুন (১৯) শির খুরমার নাম পর্যন্ত শোনেননি। ঈদের দিন সকালের ভোজ নিয়ে তিনি বলেন, ‘ঈদের দিন সকালে বাসার সবাই পায়েস খায়। পায়েস ফ্রিজে রাখলে ভালো লাগে। কিন্তু সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে ডিম, ডাব কিংবা ভ্যানিলা পুডিং। সাত সকালে সেমাই-পায়েস খেতে ইচ্ছা করে না, তাই আম্মু আগের রাতেই পুডিং বানিয়ে ফ্রিজে রেখে দেয়।’

চাঁদ রাতের ক্বাসিদার জায়গা নিয়েছে নেটফ্লিক্স

পুরান ঢাকায় প্রায় তিন দশক ধরে ছিলেন হোসেন সরদার (৬৭)। পরবর্তীতে বাড্ডায় বাড়ি করে বাস করছেন আরও দুই দশকের বেশি সময় ধরে।

চাঁদ রাত ও ঈদের রাতের আনন্দ নিয়ে হোসেন সরদার বলেন, ‘কৈশোরে সেহরির সময়ে ক্বাসিদা গাইতাম আমরা। এর জন্য আমাদের আলাদা একটি দলই ছিল। এক দলের সঙ্গে আরেক দলের ক্বাসিদা গাওয়া নিয়ে প্রতিযোগিতা হতো। চাঁদ রাতের দিন পুরান ঢাকার গলিতে গলিতে প্যান্ডেল টাঙিয়ে ঈদের দিনের কাওয়ালির প্রস্তুতি নিতো ক্বাসিদার দলগুলো। ঈদের রাতে চলত কাওয়ালি গানের আসর। গভীর রাত অবধি এসব আসরে ছেলেবুড়ো সবাই অংশ নিত।’

তবে বর্তমান সময়ে ঢাকার ঈদ আনন্দে কাওয়ালির স্থান একেবারেই নেই।

ঈদে নব্বইয়ের দশকের প্রজন্মের বিনোদনের বড় খোরাক ছিল ভিসিআরে সিনেমা দেখা। সেইসব দিনের স্মৃতিচারণ করেন ইয়াসমিন জাহান রুমকি (৩৮)। তিনি বলেন, ‘পুরো ঢাকা শহরজুড়ে সিডির দোকানগুলোতে সিডি ও ভিসিআর ভাড়া দেওয়া হতো। ঈদের রাতে যাদের বাসায় টিভি আছে, তারা ভিসিআর ভাড়া আনত। আশপাশের সবাই জড়ো হতো সেসব বাসায়। রাতভর চলতো সিনেমা দেখা। অনেকে ঈদের দিন হলে গিয়ে নতুন মুক্তি পাওয়া সিনেমা দেখত। ঈদে সিনেমা দেখা ছিল ঈদ আনন্দের অবিচ্ছেদ্য এক অংশ।’

জেন-জি প্রজন্ম সিনেমা দেখলেও সেটি এখন আর হলকেন্দ্রিক নেই, হয়ে গেছে সিনেপ্লেক্স-কেন্দ্রিক।

পুরান ঢাকার অলি-গলিতে সাউন্ড বক্সে হিন্দি গান ছেড়ে অনেকে এখন ঈদ উদযাপন করে। একবিংশ শতাব্দীতে যারা জন্ম নিয়েছেন তাদের অনেকেরই পছন্দ, ঈদের রাতে বন্ধুদের সঙ্গে নেটফ্লিক্সে মুভি দেখা কিংবা গেমিং জোনে গেম খেলা।

স্কুলছাত্রী রুশনা (১৬) ঈদ উদযাপন নিয়ে বলে, ‘ঈদের রাতে বাসায় সব ভাইবোন মিলে নেটফ্লিক্সে সিনেমা দেখা কিংবা কার্ড খেলা একরকমের ট্রেডিশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বন্ধুদের অনেকে আবার প্লে-স্টেশনে সবাই মিলে টুর্নামেন্ট খেলে। এদিন পড়ালেখার চাপ থাকে না। তাই ঈদ উদযাপনও যে যার মতো করে করে।’

ঘোড়দৌড়ের মাঠ থেকে ঈদ আনন্দ ঢুকেছে রেস্তোরাঁয়

মুঘল আমলে সম্রাট-সুবেদাররা ঈদের নামাজ পড়তে যেতেন হাতির পিঠে চড়ে। জেন-এক্স হাতির বহর না দেখলেও ঘোড়ার স্মৃতি তাদের মানসপটে আজও অমলিন।

সিরাজুল হক (৬৯) বলেন, ‘আগে ঈদের দিন তৎকালীন রেসকোর্সে ঘোড়দৌড় ছিল এক রকমের ঐতিহ্য। স্বাধীনতার পর রেসকোর্স থেকে ঘোড়দৌড় তুলে দেওয়া হলেও ঢাকার প্রায় প্রতিটি মাঠে স্বল্পপরিসরে ঘোড়দৌড়ের ব্যবস্থা থাকত। ঘোড়দৌড়কে কেন্দ্র করে মাঠে এবং এর আশপাশে মেলা বসত। শিশুকালে এই মেলার রঙ-বেরঙয়ের হাতেগড়া খেলনাই ছিল আমাদের ঈদ আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।’

নব্বইয়ের দশকেও ঢাকার বাইরের জেলাগুলোতে ঘোড়দৌড় ও নৌকাবাইচ ঈদ আনন্দে নতুন মাত্রা যোগ করতো। এছাড়া ঘোড়দৌড় কমে গেলেও ঈদ মেলা ছিল বহুকাল ধরে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।

ব্যাংক কর্মকর্তা মঈনুল ইসলাম (৩২) বলেন, ‘আমি একেবারে যখন ছোট, বয়স পাঁচ-সাত হবে, তখন বাজারে এক ধরনের খেলনা আসল; নাম কাটিস পিস্তল। স্টিলের এই পিস্তলে বারুদের পাতা ভরে চাপ দিলেও ঠাস করে শব্দ হতো। ১৫ টাকা দামের সেই পিস্তল কেনার জন্য ছেলেরা বাবার কাছে বায়না ধরত। মেয়েদের আগ্রহ থাকত নানান রঙের বেলুন, পুতুল, বাঁশি আর হরেক রকমের লিপস্টিকের দিকে।’

একবিংশ শতাব্দীতে এসে ঈদ মেলা তার জৌলুশ হারিয়েছে। জেন-জি প্রজন্মের বড় অংশের পছন্দ ঈদের দিন দুপুরে কিংবা দুপুরের পড়ে বন্ধুদের নিয়ে রেস্তোরাঁয় আড্ডা দেওয়া। অনেকে আবার ঢাকার আশপাশের বিনোদনকেন্দ্রে ঘুরতে যাওয়াও পছন্দ করেন।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সাফওয়ান (২৩) বলেন, ‘বেশিরভাগ ঈদে গ্রামে যাওয়া পড়ে। কিন্তু ঢাকায় ঈদ করা মানেই দুপুরে কিংবা বিকালে সবাই মিলে রাজধানীর ভালো রেস্টুরেন্টে বসে আড্ডা দেওয়া, খাওয়া দাওয়া করা। ঈদের দিন ঢাকার রাস্তা ফাঁকা থাকে বলে অনেক সময়ে বাইকে করে ঢাকার নানা জায়গা ঘুরে বেড়ানোও হয়।’

ঢাকায় রেস্তোরাঁর আধিক্য প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্টের সহযোগী অধ্যাপক শোয়েব-উর-রহমান বলেন, ‘বর্তমান প্রজন্মের কাছে রাজধানীর ঈদ অনেকটাই রেস্টুরেন্ট-কেন্দ্রিক। সিঙ্গাপুরের শহরেও এত রেস্টুরেন্ট দেখা যায় না। পরিকল্পিত নগরায়নের ধার না ধেরে তরুণ প্রজন্মের আকর্ষণকে কাজে লাগিয়ে গড়ে উঠেছে হাজারের মতো রেস্টুরেন্ট। আর এসব রেস্টুরেন্টের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে রাজধানীতে উদযাপিত ঈদ আনন্দ।’

ঈদ সালামির রূপান্তর

ঈদ আনন্দের আরেকটি বড় অংশ সালামি দেওয়া। মধ্যপ্রাচ্যের আদলে বর্তমানে অনেকে এটিকে ঈদি বললেও সালামির বুৎপত্তিগত প্রচলনে আসেনি বড় কোনো পার্থক্য, শুধু বদলে গেছে সালামি দেওয়ার মাধ্যম।

ষাটোর্ধ্ব হুসনে আরা স্মৃতি রোমন্থন করে বলেন, ‘আমাদের সময়ে ধারণা ছিল, বাচ্চাদের হাতে টাকা দিলে তারা নষ্ট হয়ে যাবে। তাই একেবারে বাচ্চাদের টাকা না দিয়ে খেলনা বা খাবার জাতীয় উপহার দেওয়া হতো সালামি হিসেবে। যাদের বয়স ১২ পেরিয়ে গেছে—এমন বাচ্চাদের নতুন নোটে সালামি দেওয়া হতো।’

হুসনে আরার কথায় সায় দিয়ে নব্বইয়ের দশকে জন্ম নেওয়া রাওয়াতুন নবীও (২৯), ‘এখনও নতুন নোটে সালামি পেতে খুব ভালো লাগে। সালামির পাশপাশি আরেকটি সুন্দর উপহার ছিল ঈদ কার্ড। ৫ টাকা থেকে শুরু করে ৫০ টাকা পর্যন্ত ছিল ঈদ কার্ডের দাম। অতি যত্নে নতুন টাকার নোট আর ঈদ কার্ড জমিয়ে রাখতাম আমরা।’

তবে, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) আর ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের হাত ধরে বড় পরিবর্তন এসেছে চিরচেনা সালামি আর ঈদ শুভেচ্ছায়।

একটি সফটওয়্যার কোম্পানিতে শিক্ষানবিশ আদিবা আফরোজ লিলি (২৩) বলেন, ‘অনেক সময়ই সালামি দেওয়ার মতো নতুন নোট থাকে না হাতে। অনেক সময় যার কাছে সালামি চাচ্ছি সে আবার কাছে নেই। ডিজিটাল মাধ্যমে সালামি দিলে এসব কোনো ঝামেলাই না। ঈদ কার্ডের জনপ্রিয়তা এখনও আছে। তবে শুধু হাতে দেওয়া ঈদ কার্ডের বদলে এখন মোবাইলে মোবাইলে ডিজিটাল কার্ড পাঠানো হয়।’

উদযাপনেও হাতুড়ির ঘা

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ঢাকার মূল নগরী পুরান ঢাকায় এক কোটি দুই লাখের বেশি মানুষ বাস করে। সেখানকার বেশিরভাগ পরিবারের সদস্য সংখ্যা চার জনের নিচে।

এমনিতেই জেন-জি প্রজন্মকে বলা হয় আত্মকেন্দ্রিক। তার মধ্যে যৌথ পরিবার ভেঙে একক পরিবারের জয়জয়কারে ঈদের মতো এমন আনন্দ উৎসবও দিন দিন সীমিত হয়ে উঠছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব প্ল্যানার্সের সভাপতি পরিকল্পনাবিদ আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ‘ঢাকার ঈদ এখন সীমিত ও সংকীর্ণ। যেসব মাঠে মেলা বসতো, পাড়া-মহল্লার ছেলেরা একসঙ্গে খেলাধুলা করে বন্ধু হয়ে উঠতো, উৎসবে-আনন্দে এক হয়ে উদযাপন করতো, সেসব মাঠই এখন বিলীন হয়ে গেছে। পরিবার ও সমাজের যৌথ কর্মকাণ্ড ভেঙে যাওয়ায় ঈদ আনন্দও ছকে বাধা গণ্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে।

ঢাকার ঈদকে আবারও পুনরুজ্জীবিত করতে চাইলে সবার আগে নগরের এই গুমোট অবস্থায় প্রাণ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এর মাধ্যমে মানুষে মানুষে বন্ধন মজবুত হবে, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের দূরত্ব ঘুচবে এবং উৎসবের আনন্দও ছড়িয়ে যাবে মানুষে মানুষে—এমনটাই মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

ঈদ ঈদ আনন্দ ঈদ কার্ড ঈদ উল আজহা ঈদ উদযাপন

সংশ্লিষ্ট সংবাদ: ঈদ

০৫ এপ্রিল ২০২৫
ঈদে ঢাকা ছাড়েন এক কোটি ৭ লাখ সিমধারী
৩০ মার্চ ২০২৫
জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায়
২৭ মার্চ ২০২৫
তবুও ফিরতে হবে বাড়ি...
  • আরও

পাঠকের পছন্দ

গরমে ঘামাচিতে জেরবার?

ভ্রমণের সময় যা মনে রাখবেন

কীভাবে হবেন ভালো সহকর্মী?

সর্বাধিক পঠিত
  1. রহস্য নিয়ে আসছে অজয়ের ‘দৃশ্যম ৩’, মুক্তির তারিখ ঘোষণা
  2. বলিউডের স্মরণীয় জুটি
  3. সোনাক্ষীর ‘নিকিতা রায়’ মুক্তির নতুন তারিখ ঘোষণা
  4. কত টাকার মালিক রণবীর? শাহরুখের ‘মান্নাতে’র চেয়ে দামি বাড়ি বানাচ্ছেন
  5. বলিউডের বাজার মন্দা, এবার দক্ষিণে পা রাখলেন হৃতিক রোশন
  6. কী হয়েছে অভিনেত্রী দীপিকার?
সর্বাধিক পঠিত

রহস্য নিয়ে আসছে অজয়ের ‘দৃশ্যম ৩’, মুক্তির তারিখ ঘোষণা

বলিউডের স্মরণীয় জুটি

সোনাক্ষীর ‘নিকিতা রায়’ মুক্তির নতুন তারিখ ঘোষণা

কত টাকার মালিক রণবীর? শাহরুখের ‘মান্নাতে’র চেয়ে দামি বাড়ি বানাচ্ছেন

বলিউডের বাজার মন্দা, এবার দক্ষিণে পা রাখলেন হৃতিক রোশন

ভিডিও
স্বাস্থ্য প্রতিদিন : পর্ব ৫৫৩৩
স্বাস্থ্য প্রতিদিন : পর্ব ৫৫৩৩
মিউজিক নাইট : পর্ব ১৯৫
মিউজিক নাইট : পর্ব ১৯৫
ছুটির দিনের গান : পর্ব ৪১৫ (সরাসরি)
ছুটির দিনের গান : পর্ব ৪১৫ (সরাসরি)
আলোকপাত : পর্ব ৭৭৬
দরসে হাদিস : পর্ব ৬৫১
দরসে হাদিস : পর্ব ৬৫১
রাতের আড্ডা : পর্ব ০৭
এই সময় : পর্ব ৩৮২৪
এই সময় : পর্ব ৩৮২৪
সংলাপ প্রতিদিন : পর্ব ২৪৭
সংলাপ প্রতিদিন : পর্ব ২৪৭
ছাত্রাবাঁশ : পর্ব ১২
ফাউল জামাই : পর্ব ৯৯
ফাউল জামাই : পর্ব ৯৯

Alhaj Mohammad Mosaddak Ali

Chairman

NTV Online, BSEC Building (Level-8), 102 Kazi Nazrul Islam Avenue, Karwan Bazar, Dhaka-1215 Telephone: +880255012281 up to 5, Fax: +880255012286 up to 7

Alhaj Mohammad Mosaddak Ali

Chairman

NTV Online, BSEC Building (Level-8), 102 Kazi Nazrul Islam Avenue, Karwan Bazar, Dhaka-1215 Telephone: +880255012281 up to 5, Fax: +880255012286 up to 7

Browse by Category

  • About NTV
  • Career
  • NTV Programmes
  • Advertisement
  • Web Mail
  • NTV FTP
  • Satellite Downlink
  • Europe Subscription
  • USA Subscription
  • Privacy Policy
  • Terms & Conditions
  • Contact
  • Archive

NTV Prime Android App

Find out more about our NTV: Latest Bangla News, Infotainment, Online & Live TV

Qries

Reproduction of any content, news or article published on this website is strictly prohibited. All rights reserved

x
ইউনিজয়
ফনেটিক
English

By using this site you agree to our Privacy Policy