গত কয়েক বছর ধরে এদেশে যে গুমের সংস্কৃতি ছিল, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর একটিও গুমের ঘটনাও ঘটেনি বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। 

রোববার (১১ মে) কক্সবাজার শহরের একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত পিআইএল (পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশন) পর্যালোচনা কর্মশালায় অ্যাটর্নি জেনারেল এসব কথা বলেন।

গত ৯ মাসে পুলিশের পক্ষ থেকে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়নি বলেও জানান মো. আসাদুজ্জামান।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, সরকারের নয়, রাষ্ট্রের আইন কর্মকর্তা হিসেবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে কাজ করছি। 

গত কয়েক বছরে সাড়ে চার হাজার মানুষ বিনা বিচারে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে উল্লেখ করে মো. আসাদুজ্জামান বলেন, দেশে অনেক এনজিও এবং এনজিও ব্যক্তিত্ব আছেন, তারা কথা বলেন কিন্তু সোচ্চার হন না। সুতরাং সমাজ পরিবর্তনের জন্য প্রত্যেকের কমিটমেন্ট থেকে কাজ করতে হবে। 

অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, বিএনপি সরকারের সময় কিছু কিছু এনজিও গণ গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে কথা বলেছে। কিন্তু বিএনপির দাবি অনুসারে বিগত সরকারের সময় ৬০ লক্ষ গায়েবি মামলা হয়েছে। এর ৯৯ শতাংশ বাদী পুলিশ। যেখানে গায়েবি মামলা হয়েছে, মৃত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে, বিদেশে অবস্থানরতদেরও আসামি করা হয়েছে। এখনো হচ্ছে। এনজিওগুলোকে এ বিষয়ে সোচ্চার হতে হবে, কথা বলতে হবে।

গত ৯ মে শুরু হয়ে আজ শেষ হয় তিন দিনব্যাপী এ কর্মশালা। সমাপনী দিনে কর্মশালার সভাপতিত্ব করেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের বিচারপতি মুজিবুর রহমান মিয়া। 

বেসরকারি সংস্থা বেলা ও এএলআরডি আয়োজিত কর্মশালায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন হাইকোর্ট ডিভিশনের বিচারপতি আয়নুন নাহার সিদ্দিকা, এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা ও বেলা'র প্রধান নির্বাহী (ভারপ্রাপ্ত) তাসলিমা ইসলাম। 

কর্মশালায় বিভিন্ন বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং এনজিও কর্মকর্তাবৃন্দ।