রাজনৈতিক আশ্রয়ে একদল দুর্বৃত্ত জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করছে : জামায়াত আমির

রাজনীতিবিদদের আশ্রয়ে একদল দুর্বৃত্ত জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
আজ রোববার (১১ মে) সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনাবিষয়ক চতুর্থ আন্তর্জাতিক সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামীর আমির এ মন্তব্য করেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘যারা জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের জন্য দায়ী—তারা রাজনৈতিক আশ্রয়ে দিনকে দিন অপরাধ জারি রাখছে।’
তিন দিনব্যাপী সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন আজ ‘পরিকল্পিত বাংলাদেশ এবং নগর, অঞ্চল ও গ্রামীণ এলাকার বৈষম্যহীন উন্নয়ন : রাজনৈতিক অঙ্গীকার ও আগামীর পথনকশা’ শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন জামায়াত আমির।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের দেশটি ছোট কিন্তু জনসংখ্যা অনেক বেশি। তবে এই দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ আমরা রক্ষা করতে পারিনি। আমাদের নদীগুলোতে এখন ধান চাষ হয়। সবই কি ভারত থেকে আসা পলিমাটির দোষ? আমাদের নদীগুলো আমাদের শরীরের ধমনী, শিরার মতো। আমরা নদীগুলোকে ধ্বংস করে ফেলছি। পানিতে যে মাছ বংশবৃদ্ধি করত সেগুলো এখান থেকে পালিয়ে যাচ্ছে। অপরিকল্পিত ও অবৈজ্ঞানিকভাবে উন্নয়ন করে জীববৈচিত্র্য ধ্বংসে আমরা মেতে আছি।’
নগর পরিকল্পনাবিদদের রাষ্ট্রের পরিকল্পনায় যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে জামায়াত আমির বলেন, ‘পরিকল্পনাবিদদের রাষ্ট্রের কোনো পরিকল্পনায় জায়গা দেওয়া হয়নি। তাহলে দেশের সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন পড়ানো হয়? আমাদের যদি আল্লাহ কখনও ক্ষমতার সঙ্গে থাকার সুযোগ দেয়, কথা দিচ্ছি পরিকল্পনাবিদদের আমরা ফ্যাসিলেটেড করব।’
বৈঠকে আরও বক্তব্য দেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, বিআইপির সভাপতি ড. আদিল মুহাম্মদ খান, বিআইপির সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ শেখ মুহম্মদ মেহেদী আহসান প্রমুখ।
শনিবার (১০ মে) থেকে শুরু হওয়া বিআইপির নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনাবিষয়ক চতুর্থ আন্তর্জাতিক সম্মেলন আগামীকাল সোমবারে শেষ হবে। এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘নগর, অঞ্চল এবং গ্রামীণ এলাকার বৈষম্যহীন উন্নয়নে স্থানিক (স্পাইটাল) পরিকল্পনা।