এটিএম আজহারের মুক্তি, শাহবাগে জামায়াত নেতাদের ঢল
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ থেকে খালাসপ্রাপ্ত জামায়াতনেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম মুক্তি পান আজ। তিনি কেরানীগঞ্জ কারাগারের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (পিজি হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখান থেকে আজ বুধবার (২৭ মে) সকালেই তিনি মুক্তি পান।
এই বিষয়ে ঢাকা বিভাগের কারা উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন্স) মো. জাহাঙ্গীর কবির জানান, আজহারুল ইসলামের খালাসের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে কারাগার থেকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আজ সকালে সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
এদিকে এটিএম আজহারুল এর মুক্তি উপলক্ষে শাহবাগ চত্বরে জড়ো হয়েছে জামায়াতের হাজার হাজার নেতা-কর্মী। উপস্থিত হয়েছেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান।
জানা গেছে, গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে এটিএম আজহারুল ইসলাম পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এর আগে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস দিয়ে রায় ঘোষণা করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
আজহারের আপিল মঞ্জুর করে মঙ্গলবার (২৭ মে) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় রাষ্ট্র ও আসামি উভয়পক্ষের আইনজীবী, জামায়াতের শীর্ষ নেতা ও তাদের দলীয় আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে সাত বিচারপতি এজলাসে ওঠেন। এরপর রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম আইনি বিষয় তুলে ধরেন। এরপর রায় ঘোষণা শুরু হয় ৯টা ৫৫ মিনিটে।
আদালতে জামায়াতনেতা আজহারের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির, ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, ব্যারিস্টার ইমরান আবদুল্লাহ সিদ্দিক ও ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন। রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও প্রসিকিউশনের পক্ষে প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম।