দুই ‘লাল মানিক’ ও দুই ‘কালো মানিক’, দাম ২৮ লাখ

আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার শুক্তাগড় ইউনিয়নের চড়কেওতা গ্রামে দেখা মিলেছে ব্যতিক্রমী চারটি কোরবানির গরুর। চোখ ধাঁধানো রঙ, বিশাল আকৃতি ও শৌখিন পরিচর্যায় এই গরুগুলো আলাদা পরিচিতি পেয়েছে। লাল রঙের দুটি ষাঁড়ের নাম রাখা হয়েছে ‘লাল মানিক’ ও কালো রঙের দুটি ষাঁড়ের নাম ‘কালো মানিক’। ইতোমধ্যে এই গরুগুলো এলাকার মানুষের কৌতূহলের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
গরুগুলোর মালিক মিনারা বেগম। শখের বসে পালন শুরু করলেও এখন তা রূপ নিয়েছে পেশাদার খামার হিসেবে। জানা গেছে, ‘লাল মানিক’ নামের দুটি ষাঁড়ের ওজন প্রায় এক হাজার ৯২০ কেজি। এর মধ্যে একটি শাহরিয়াল ও একটি ক্রোচ শাহরিয়াল জাতের। অপরদিকে ‘কালো মানিক’ নামের দুটি ষাঁড়ের ওজন প্রায় এক হাজার ৫৬০ কেজি। একটি ক্রস বর্ম হামা ও একটি জার্সি জাতের।
মিনারা বেগম জানান, গত দেড় বছর ধরে প্রাকৃতিক উপায়ে গরুগুলো লালনপালন করেছেন। খড়, ভুসি, খৈল, ভুট্টা, পায়রা এবং প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০ কেজি কাঁচা ঘাস খাওয়ানো হয় গরুগুলোকে। দিনে দুই থেকে তিনবার গোসল করানো হয় তাদের। কোনো ধরনের কৃত্রিম ওষুধ কিংবা ইনজেকশন ব্যবহার করা হয়নি। শখের বশে একসময় একটি গরু কিনে পালন শুরু করেন মিনারা বেগম। একপর্যায়ে তা বাড়িয়ে ১৬টি গরু পর্যন্ত নিয়ে যান। তবে করোনাকালে লোকসানের মুখে পড়ে কম দামে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হন তিনি। এরপরও ভালোবাসা থেকে পিছু হটেননি। দেড় বছর আগে আবার নতুন করে চারটি গরু কিনে সন্তানের মতো আদর করে লালনপালন করেন। মিনারার স্বামী ঢাকায় চাকরি করেন এবং তিনি নিজেই সন্তানদের নিয়ে বাড়িতে থেকে একা এই চারটি গরুর যত্ন নিয়েছেন।
গরুগুলোর দাম হাঁকানো হয়েছে মোট ২৮ লাখ টাকা। তবে মিনারা বেগম জানিয়েছেন, সৎ ও উপযুক্ত কোনো ক্রেতা পেলে কিছুটা ছাড় দিতেও প্রস্তুত তিনি।
খামারি মিনারা বেগম বলেন, নারী হয়ে এত বড় গরু নিয়ে বাজারে যাওয়া বেশ কঠিন। ভালো ক্রেতার খোঁজেই অপেক্ষা করছি। আগ্রহীদের তিনি ০১৭১৭-১০৪৭৭৭ নম্বরে যোগাযোগের আহ্বান জানিয়েছেন।