অধ্যাপক ইউনূসকে অভ্যর্থনা জানালেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা। দুই নেতার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শুরুর আগে আজ শুক্রবার (৩০ মে) জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ অভ্যর্থনা জানানো হয়।
অধ্যাপক ইউনূসের সফরের শেষ দিনে এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই আলোচনায় দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা, বিনিয়োগ, জনশক্তি রপ্তানি, আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৯ মে) টোকিওতে নিক্কেই ফোরামের ৩০তম ‘ফিউচার অব এশিয়া’ সম্মেলনে অধ্যাপক ইউনূস তার গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দেন, যেখানে তিনি ‘তিনটি শূন্য’– দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও নেট কার্বন নির্গমন– এর এক সাহসী দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে এশিয়ার জন্য নতুন এক ভবিষ্যৎ নির্মাণের আহ্বান জানান। একই দিনে, তিনি ‘বাংলাদেশ সেমিনার অন হিউম্যান রিসোর্সেস’ শীর্ষক এক সেমিনারে অংশ নেন, যেখানে জাপানের পক্ষ থেকে আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশ থেকে এক লাখ শ্রমিক নিয়োগের কথা জানানো হয়।
প্রধানমন্ত্রী ইশিবার সঙ্গে এই বৈঠকটি জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে চলমান সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করবে আশা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, চার দিনের সফরে জাপানে গেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। স্থানীয় সময় বুধবার (২৮ মে) দুপুর ২টা ৫ মিনিটে তিনি টোকিওতে পৌঁছান। জাপানের উদ্দেশে যাওয়ার পথে হংকংয়ে সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতি করেন প্রধান উপদেষ্টা। মঙ্গলবার (২৭ মে) ভোর রাতে তিনি হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে সেদেশের শ্রমমন্ত্রী ক্রিস সান তাঁকে স্বাগত জানান।
এর আগে, মঙ্গলবার রাত ২টা ১০ মিনিটে অধ্যাপক ইউনূস ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী ক্যাথে প্যাসিফিক এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট জাপানের উদ্দেশে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
আগামী ৩১ মে প্রধান উপদেষ্টার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।