জিএম কাদেরের বাড়িতে হামলায় থানায় অভিযোগ, তদন্ত করবে পুলিশ

রংপুরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের বাসভবনে হামলা, ভাঙচুর ও মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। জাতীয় ছাত্রসমাজের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আরিফ আলী বাদি হয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে মহানগর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়কসহ ২২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার (৩০ মে) রাতে অভিযোগটি গ্রহণ করে পুলিশ। কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, অভিযোগটি নেওয়া হয়েছে, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মামলার বাদি আরিফ আলী অভিযোগ করে বলেন, গত বৃহস্পতিবার (২৯ মে) নগরীর সেনপাড়ার জিএম কাদেরের বাসায় আক্রমণ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগসহ জিএম কাদেরকে হত্যার উদ্দেশ্য হামলা চালানো হয়। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জাতীয় পার্টির কয়েকজন নেতাসহ কয়েকজন মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানায় মামলার এজাহার নিয়ে আসেন। এসময় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান এক ঘণ্টারও বেশি সময় বসিয়ে রেখে নানা টালবাহানা শুরু করেন। একপর্যায়ে ওসি মামলা রেকর্ড করতে পারবেন না জানিয়ে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেন। তার অভিযোগ, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে যেভাবে পুলিশ আওয়ামী লীগের কথা ছাড়া মামলা গ্রহণ করতো না। এখন ৫ আগস্টের পর আবারও একই কাজ করছে।
ছাত্র সমাজের এই নেতা অভিযোগ করে আরও বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বহিষ্কৃত কয়েকজনের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা জিএম কাদেরের পৈতৃক নিবাস স্কাইভিউতে কাটা রাইফেল, ককটেলসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। তারা জিএম কাদের যে কক্ষে ছিলেন সেখানে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে জানালার কাচ ভেঙে ফেলেন। জিএম কাদেরকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়। এ সময় বাসভবনের সামনে থাকা মোটরসাইকেলে গান পাউডার ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। রাইফেল দিয়ে গুলি বর্ষণ করা হয়।
জিএম কাদেরের বাসায় হামলার প্রতিবাদে আজ শনিবার (৩১ মে) বিকেলে সারা দেশে জাতীয় পার্টি বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি দিয়েছে। রংপুরে এ কর্মসূচি ঘিরে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।