নবীনগরে জমজমাট কোরবানির পশুর হাট

দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। মুসলমানদের অন্যতম বড় এই ধর্মীয় উৎসবকে ঘিরে সারা দেশের মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরেও কোরবানির পশুর হাটগুলোতে চলছে জমজমাট বেচাকেনা। ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড়। হাটের পাশাপাশি অনলাইনেও চলছে পশু কেনাবেচা।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নবীনগরে কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে ১৫ হাজার ১৭৬টি পশু। তবে এখানে চাহিদা রয়েছে ১৪ হাজার ৫৬৫টি পশুর। ফলে চাহিদার তুলনায় ৬১১টি পশু বেশি রয়েছে। খামারিরা এসব পশু পরিচর্যা করে বিক্রির জন্য তৈরি করেছেন।
স্থানীয় খামারিরা জানায়, এবার ভারতীয় গরু না আসায় তারা স্বস্তিতে আছেন। তবে গোখাদ্যের দাম বৃদ্ধি, শ্রমিক মজুরি বেড়ে যাওয়া ও অন্যান্য খরচ বৃদ্ধির কারণে গরুর দাম কিছুটা বেশি। তারা জানিয়েছে, পশুগুলোকে হালালভাবে বড় করতে নিজেদের জমিতে উৎপাদিত ঘাস, বিচালি, খৈল, ভুসি ও ভুট্টা খাওয়ানো হয়েছে।
নবীনগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও নবীনগরের কোরবানির পশুর হাটগুলোতে বেচাকেনা ভালো হচ্ছে। এখানকার স্থায়ী ও মৌসুমি খামারিদের পাশাপাশি অনেকেই বাড়িতে কোরবানির জন্য পশু পালন করেছেন। চাহিদার তুলনায় পশু বেশি থাকায় কোনো ঘাটতির আশঙ্কা নেই।