ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে যানজট, গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া

ঈদকে ঘিরে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। দীর্ঘ ছুটি কাটাতে কয়েকদিন ধরেই রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছেন কর্মজীবীরা। তবে আজ থেকে শুরু হয়েছে ১০ দিনের লম্বা ছুটি। তাই সড়কে পড়েছে অতিরিক্ত যাত্রী ও যানবাহনের চাপ।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সাভার ও আশেপাশের শিল্প এলাকা থেকেও রওনা হন হাজার হাজার মানুষ। তাদের বেশিরভাগই তৈরি পোশাক শ্রমিক। তবে পথে তাদের পড়তে হয়েছে তীব্র যানজটে, সঙ্গে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়াও।
যানবাহন ও যাত্রীর সংখ্যা অত্যধিক বৃদ্ধির কারণে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঢাকা-আরিচা এবং নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে তীব্র যানজটের খবর পাওয়া গেছে।
সকাল থেকে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে, যা যাত্রীদের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়েছে।
ঈদের কারণে বাড়তি যাত্রীর চাপের সুযোগ নিয়ে পরিবহন শ্রমিকরা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যাত্রীদের স্বাভাবিক ভাড়ার চেয়ে অনেক বেশি ভাড়া দিতে হচ্ছে।
অনেক যাত্রীকে কেবল জায়গা নিশ্চিত করার জন্য অনেক বেশি ভাড়ায় আসন বুক করতে দেখা গেছে। সকাল থেকেই সাভার এবং আশেপাশের এলাকার পরিবহন কাউন্টারগুলোতে দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে।
হেমায়েতপুর, আমিন বাজার, গেন্ডা, উলাইল, নবীনগর, বাইপাইল, শ্রীপুর এবং জিরানী বাজারের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যাত্রীরা আসনের অভাব এবং টিকিটের মূল্য বেশি বলেও অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী যাত্রীরা।
রংপুরে যাওয়া জন্য অপেক্ষারত পোশাক শ্রমিক পারভিন আক্তার পারু বলেন, ‘আমি ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে আছি। সিট খালি থাকলেও তারা প্রায় দ্বিগুণ ভাড়া দাবি করছেন। ৬৫০ টাকার টিকিট ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।’
যশোরগামী আরেক যাত্রী সেন্টু মিয়া বলেন, ‘তারা ৪০০ টাকার টিকিটের জন্য ৮০০ টাকা দাবি করছে। আমরা গরিব মানুষ, আমাদের কী করার আছে?’
বাসচালক পারভেজ আলম অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘আমরা কাউকে জোর করছি না। কিছু যাত্রী স্বেচ্ছায় ঈদ বোনাস দিচ্ছেন।’
বরিশাল রুটের সাকুরা পরিবহনের সুপারভাইজার সুব্রত কুমার দাবি করেছেন যে, তারা নিয়মিত ভাড়া নিচ্ছেন তবে উচ্চ চাহিদার কথা স্বীকার করেছেন। ‘আসন সীমিত এবং ঈদের সময় খরচ সবসময়ই বেড়ে যায়।’
ব্যাপক অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, তারা এখনও ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পাননি।
সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সালেহ আহমেদ বলেন, তারা যানজটের বিষয়টি অবগত এবং ভোর থেকেই অতিরিক্ত কর্মী মোতায়েন করে যানজট নিরসনে কাজ করছেন। তিনি আশ্বাস দেন, আনুষ্ঠানিক কোনো অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।