এক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে মিলবে সকল নাগরিক সেবা : ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, যারা স্মার্টফোন বা কম্পিউটার ব্যবহার করে সেবা নিতে পারেন না, তারাও ‘এক ঠিকানায় সকল নাগরিক সেবা’ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে সব সরকারি সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
গতকাল রোববার (২২ জুন) আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারের বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এ কথা বলেন। আজ সোমবার (২৩ জুন) এক তথ্য বিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জনগণকে ঝামেলামুক্ত সরকারি সেবা পৌঁছে দিতে এই নাগরিক সেবা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে বলে জানান ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের ডিজিটাল অবকাঠামো, ডিজিটাল দক্ষতা ও সাইবার নিরাপত্তা সক্ষমতা বাড়ানোর কাজও চলছে।
অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, আগে সরকারি সেবাগুলো ছিল বিচ্ছিন্ন, আংশিক ডিজিটাল ও আংশিক কাগজপত্র ভিত্তিক। নাগরিক সেবা প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এসব সমস্যার সমাধান হবে এবং নাগরিকরা একবার লগইন করেই বহুমুখী সেবা গ্রহণ করতে পারবেন, যা তাদের সময়, অর্থ ও শ্রম বাঁচাবে।
বর্তমানে নাগরিক সেবা প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ৮১টি সরকারি সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এই কার্যক্রম গুলশান ও উত্তরায় দুটি নাগরিক সেবাকেন্দ্রে পরীক্ষামূলকভাবে চলছে এবং খুব শিগগিরই নীলক্ষেতে আরেকটি কেন্দ্র চালু করা হবে।
পরীক্ষামূলক পর্ব সফলভাবে শেষ হওয়ার পর, নাগরিক সেবা কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে ৬৪ জেলার সব উপজেলা ও ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায়ে বিস্তৃত করা হবে।
এই কর্মশালায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
‘এক ঠিকানায় সকল নাগরিক সেবা’ স্লোগান নিয়ে অনলাইন ভিত্তিক ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’-এর পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু হয়। যার লক্ষ্য সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় বিভিন্ন সরকারি সেবা পৌঁছে দেওয়া।
চলতি বছরের ২৬ মে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই পাইলট প্রকল্পটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।